শিরোনাম
◈ ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি ◈ আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ এখনো ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়ছে শান্তরা ◈ কোটি টাকার স্পন্সর পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ◈ এ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম (ভিডিও) ◈ সুখবর: প্রাথমিকে ৯৫৭২ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি, আছে শর্ত ◈ পদত্যাগ করা সমন্বয়কদের নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা, বললেন আবারও রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত ◈ ব্যয় কমাতে কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাদ পড়লো ক্রিকেট ◈ আরেক দফা বাড়ছে নীতি সুদহার, বাড়বে সব ধরনের সুদ ◈ লন্ডনে আলিশান বাড়িতেই আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে পিতা হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর : ফরিদপুরে শাহাজাহান ব্যাপারী (৫৫) হত্যা মামলায় তার ছেলেসহ তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন। 
 
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন হলেন নিহতের ছেলে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের শাওন ব্যাপারী, একই ইউনিয়নের করিমপুর উত্তরপাড়া এলাকার মো. শামীম মোল্লা ও মো. আকমল মোল্লা। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
 
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে (৬০)। তাকেও কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলার বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় নিহতের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাওন ব্যাপারী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহাজাহান ব্যাপারী দীর্ঘ ১৭ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাজাহান ব্যাপারী নিজ ঘরে খুন হন। শাহাজাহানের মাথার পেছনে, বাঁ চোখের ওপর, থুতনিসহ গলার নিচ পর্যন্ত, বুকের বাঁ পাশে ও বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপর ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল ব্যাপারী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুনির হোসেন ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী, ছেলেসহ আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
 
ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, ‘আদালত নিহতের ছেলেসহ তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রীকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেন। মামলায় বাকি চার আসামিকে খালাস দেন। 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়