শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস খাদে পড়ে আহত ৩০, অলৌকিকভাবে উদ্ধার নবজাতক ◈ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হবে ◈ হাসিনা সরকার বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছিল পিটার হাস্‌কে নিয়ে অস্বস্তির কথা ◈ পুলিশের আরও চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি ◈ বাজার দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব: মোহাম্মদপুরে কাঁচাবাজারের সভাপতি ও তার ভাইকে গুলি ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে বিএনপির রিভিউ আবেদনে ১০ যুক্তি ◈ সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসানের বক্তব্যের আগেই ভেঙ্গে পড়লেন মঞ্চ, আহত ১২ (ভিডিও) ◈ আবহাওয়ার খবর: রাতের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা ◈ উপদেষ্টাকে পর্দা করার উপদেশের গুজব নিয়ে যা বললেন রিজওয়ানা হাসান (ভিডিও) ◈ ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১০০

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:২৮ বিকাল
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সড়কের বেহাল দশা,চরম ভোগান্তিতে পৌরবাসী!

মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে : খানাখন্দে ভরা রাস্তা। কোন কোন রাস্তা দিয়ে রিকশা, অটো রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করে। বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে পৌরবাসীর রাস্তা। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ঘটছে নানা ধরনের দূর্ঘটনা। 
 
ধামরাই উপজেলায় প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা প্রধান সড়কের এমনই বেহাল দশা। এই সড়ক নিয়ে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে আছেন পৌরবাসী। ধামরাই হার্ডিজ্ঞ সরকারি স্কুলের সামনে হতে বড়বাজার নাটমন্দির পর্যন্ত  সড়ক টির পুনরায় মেরামত করা প্রয়োজন, সড়কটি এখন চলা চলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন তো দূরে থাক,পায়ে হেঁটে যাওয়াই দুষ্কর। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরপুর গোটা সড়ক। এতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর বাসীসহ এই শহরে আসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ।এমন দৃশ্য দেখা যায় ধামরাই পৌর সভায়,যার প্রতিটি রাস্তাই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধামরাই ইসলামপুর বাটা-সু কারখানার সামনেথেকে ছয়বাড়িয়া প্রায় কিলোমিটার রাস্তা, বড় চন্দ্রাইল পাকার মোড় হতে ছোট চন্দ্রাইল সড়ক, জ্যোতি বিদ্যা স্কুল হতে বড় চন্দ্রাইল বাজার, থানার সামনে থেকে বরাত নগরের ভিতরের রাস্তা, কাগুজিয়া পাড়ার রাস্তার চরম বেহাল অবস্থা। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। পুরো রাস্তা খানাখন্দভরা  ভরা। রিকশা, সিএনজি প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা। রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। বর্তমানে বরাত নগরের ভিতর ও হার্ডিজ্ঞ স্কুলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে বেশির ভাগই যানবাহন না গিয়ে পৌরসভার পাশের রাস্তা দিয়ে ঘুরে ধামরাই থানারোড ও ইসলামপুর যায়। রাস্তা এতটাই অসুস্থ যেখান দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি নিয়ে গেলে অসুস্থ রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে থাকে। নেই কোন মেরামতের উদ্যোগ। কবে থেকে এই সব রাস্তা ঠিক হবে বলা মুশকিল। এ সবই স্বৈরাচার সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা। সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য এসব রাস্তার কোন উন্নয়নমূলক কাজে হাতের ছোঁয়া লাগেনি।
 
পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের চলাচলের রাস্তায় দির্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার এক পাশে দিয়ে গর্ত করে রেখেছে ঠিকাদার। রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য চুঙি পড়ে আছে। রাস্তা পাকা করণের জন্য গর্ত করে রেখেছে বছরের পর বছর। কিন্তু পাকা রাস্তার আশ্বাসে এলাকাবাসী দির্ঘদিন ধরে একটি অসুস্থ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। তালতলা, ছয়বাড়িয়া এলাকায় কোন রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি যেতে চায় না। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ঠিকাদারের আর কোন দেখা পাওয়া যায়নি। 
 
 
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাদা মাঠ, তালতলা, নতুন দক্ষিণ পাড়া মহল্লায় বৃষ্টি আসলে বেড়ে যায় ভোগান্তি। মানুষের ঘরের ভিতরও পানি প্রবেশ করে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমন দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শহিদুল্লাহকে একাধিক বার মানুষ এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও তিনি কোন প্রকার সাড়া দেননি।  
 
৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তাও একই অবস্থা। কাগজি পাড়ার রাস্তার খানাখন্দভরা। যানবাহন ধীরে চলাচল করে। দির্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার পরও পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনপ্রকার মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা
 
একই দৃশ্য দেখা যায়, ধামরাই হার্ডিজ্ঞ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের পশ্চিম পাশের রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। খানাখন্দে রাস্তার অবস্থা এতোই খারাপ বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা যাতায়াত করে না। আর হঠাৎ যদি বৃষ্টি হয় তাহলে হাঁটা চলাফেরা করতে কষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ওই রাস্তায় যাত্রী নিয়ে কোন যানবাহন যাতায়াত করেনা।স্থানীয়বাসিন্দা মোহাব্বত খান বলেন,জনপ্রতিনিধিদের একটু উদাসীনতার কারণেই রাস্তার এই বেহাল অবস্থা। 
 
জ্যোতিবিদ্যা স্কুলের পিছনের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। নর্দমা ও ড্রেনের পানি রাস্তার উপরে চলে আসে। সারাদিন দূগন্ধে যাতায়াত করা মুসকিল হয়ে পারি। হাঁটু পানির উপরে থাকে পানি। অনেক বাড়ির ভাড়াটিয়ারাও চলে যায় অন্যত্র। শুধু তাই নয় পৌর সভার প্রায় রাস্তাই এমন অসুস্থ ও বেহাল অবস্থা। 
 
৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেওয়ান নজরুল বলেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তায় কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাই। দির্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ও রাস্তা মেরামতের কাজের জন্য চুঙি রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। ঠিকাদার আসে কিন্তু কোন কাজ হয় না। সাধারণ জনগণ শুধু প্রহসনের স্বীকার হয়েছে দির্ঘদিন ধরে।
 
এ বিষয়ে ধামরাই  পৌরসভার প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেনকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 
ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়