শিরোনাম
◈ টেকনাফের বাড়িতে-বাড়িতে ফাটল মিয়ানমারের বিস্ফোরণের কম্পনে  ◈ আমাকে শুধু জালিয়াতি করেই হারানো সম্ভব: ট্রাম্প ◈ কুষ্টিয়ায় বালুরঘাট দখল নিয়ে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ ৩১ দফাটা এমন বিষয় নয় যে আমরা কখনো পরির্বতন করতে পারবো না: তারেক রহমান ◈ ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৮৬ রোগী ◈ আশুলিয়ায় আ.লীগ কর্মীদের ধাওয়ায় পালালেন বিএনপি নেতা (ভিডিও) ◈ রাস্তায় শুয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের বিক্ষোভ, ৩ ঘণ্টা পর সড়ক ত্যাগ (ভিডিও) ◈ ধানমন্ডিতে চাপাতি নিয়ে ছিনতাইয়ের সিসিটিভি ফুটেজ (ভিডিও) ◈ হাসনাতের সঙ্গে আইনজীবীদের বাগ-বিতন্ডা, কি হয়েছিল আদালতে? (ভিডিও) ◈ স্থানীয়রা বলছেন, জ্বীন নাকি সাপের রূপ ধারণ করেছে, ছোবল দিচ্ছে তাদের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৩১ রাত
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় বালুরঘাট দখল নিয়ে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ভাঙচুর (ভিডিও)

কুষ্টিয়ার পৌর এলাকার জুগিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বালু ঘাট দখল করাকে কেন্দ্র স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে দিনভর গুলি বিনিময়, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করতে দেখা গেছে।

আজ বুধবার দুপুরে জুগিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অনেকেই ছাদ থেকে গোলাগুলির ঘটনা ভিডিও করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম জুগিয়া বালু ঘাটের ইজারা নেন। গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে জুগিয়া বালু ঘাটের অবস্থান। গড়াই নদ খননের বালু জুগিয়া এলাকায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেই বালু টেন্ডারের মাধ্যমে ‘ডেকে’ নেন আওয়ামী লীগ নেতা মহিদুল ইসলামসহ অন্যরা। 

৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা দেশ ফেলে পালালে বালু ঘাটের দখল নিতে বিএনপির একটি পক্ষ তৎপর হয়ে ওঠে। ঘাট নিয়ে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, শহর যুবদলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জনি, ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী মহিদুল ৪০ ভাগ ও বিএনপিরে নেতারা ৬০ ভাগ অর্থ পাবে এ শর্তে বালু উত্তোলন শুরু হয়। তারা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেনের অনুসারী। 

এদিকে ভাগ-বাটোয়ারায় অংশ না পেয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের অনুসারী শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির অপর পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ আজ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। এ সময় বিএনপি নেতা সাজু ও মিজানুর রহমানের লোকজন এবং এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে গেলে পাল্টা হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুলি ছুড়তেও দেখা যায়। 

এলাকাবাসী জানান, জুগিয়া কানাবিলের মোড়ে আব্দুল আজিজের ছেলে ইশতিয়াক অস্ত্র হাতে মহড়া দেন ও গুলি ছোড়ে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর একটি অংশও সাজুর সঙ্গে এক হয়ে মহিদুলের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। পরে মহিদুলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জুগিয়ায় বালু তোলার কারণে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। হানিফ ও তার ভাই আতার দোসর ছিল মহিদুল। তার কারণে এলাকায় মানুষ বসবাস করতে পারছে না। পাকা সড়কটি নষ্ট হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বালু ভর্তি ট্রাক চলার কারণে এ অবস্থা হয়েছে।
 
বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্যাডার জিকু, রাকিবও রানাসহ অন্যরা বিএনপির পার্টি অফিসে হামলা চালায়। তারা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমার সঙ্গে মহিদুলের কোনো সম্পর্ক নেই। বালু ঘাট থেকে কোনো ভাগ খাই না।’ 

শাহজাহান আলী সাজু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহিদুলের সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপির কিছু নেতা এক হয়ে বালু উত্তোলন করছিল। এলাকার লোকজন এক হয়ে তাদের বাধা দিলে অস্ত্রসহ হামলা চালায় মহিদুলের ক্যাডার বাহিনী। তারা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, গত দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া বিষয়টি জানতে পেরেছি। অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র : সমকাল, ডিবিসি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়