আইরিন হক, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি:: দূর্গা পুজার টানা ৫ দিন ছুটি শেষে আবারো সচল হয়েছে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের আমদানি,রফতানি বাণিজ্য। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়া বন্দরে ফিরেছে কর্ম চাঞ্চল্য। এদিকে ৫ দিন বন্ধের কারনে বন্দরে বেড়েছে পণ্যজট। তবে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত তাদের আমদানি পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়,দেশের স্থলপথে ভারতের সাথে যে বানিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫ ০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ৩০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। তবে শারদীয় দূর্গাপুজার কারনে ভারত-,বাংলাদেশ মিলে টানা ৫ দিন ছুটির কারনে বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা ৫ দিন ছুটির কবলে পড়ে বন্দরটি। আজ ছুটি শেষ হওয়ায় আবারো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে ট্রাক যাচ্ছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। ভারত থেকেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ট্রাক আসছে বেনাপোল বন্দরে। পরবর্তীরের পণ্যের রাজস্ব পরিশোধ করে এসব পণ্য নেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাচামাল, তৈরী পোশাক,গার্মেন্টস,শিশু খাদ্য,মাছ কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট,পাটরতৈরী পণ্য,গার্মেন্টস,তৈরী পোশাক,কেমিকেল, বসুন্ধারা টিসু,মেলামাইন, মাছ উল্লেখ্য যোগ্য।
পণ্যবাহী ট্রাক চালক রহমত জানান,পুজার ছুটির কারনে তিনি বেনাপোল ৫ দিন বন্দরে আটকা পড়েছিলেন। এখন বন্দর খোলায় রফতানি পণ্য নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন।
বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ৫ দিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্যজট ও যানজট দেখা দিয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে বানিজ্য শুরু হওয়ায় এ পণ্যজট কুমতে শুরু করেছে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন জানান, বন্দরের যারা পুজার ছুটিতে ছিলেন তারা কর্মস্থলে ফিরেছেন। দ্রুত যাতে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :