শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সালিসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের থামাতে যাওয়া এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
রোববার(১৩ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত বাবুল মিয়া (২৭) ওই গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। বাবুলের আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিল একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন ওরফে হৃদয় মিয়া। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে অটোরিকশাচালক হৃদয়ের বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য রোববার সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিস বৈঠক বসে।
সেই সালিশের উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষ হাতাহাতি শুরু করে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাঁদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তাঁর লোকজন
চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলকে পায়ে, পিঠে ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান,
মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলার করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :