কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী থেকে বাংলাদেশী পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলেদের ফেরত আনতে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে বিজিবি। নাফ নদীতে তারা বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করার সময় তাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশী পাঁচ নাগরিকরা হলো টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো: আলম (২২), আব্দুল মজিদের ছেলে মো: রাসেল মিয়া (২৩) ও মো: সাইফুল মিয়া (১৭), মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: বোরহান উদ্দিন (১৯) ও চকরিয়া মো: খোরশেদ আলমের ছেলে মো: রাশেদ (২৪)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সালাম পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, সোমবার দুপুরে পাঁচজন জেলে নৌকায় করে বড়শি নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে নামেন।
সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে টেকনাফ পৌরসভার কাছে নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের আরকান আর্মির সদস্যরা ওই পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। তারা রাতে মোবাইলে যোগাযোগ করে পরিবারকে বিষয়টি জানান। তারা বর্তমানে টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের প্রাংপুরু আরকান আর্মির হেফাজতে রয়েছেন।
জেলে বোরহানের বড় ভাই মো: ইয়াহিয়া বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে টেকনাফ বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গণি বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবারের চাহিদা মেটাতে কিছু লোক স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সোমবার পাঁচজন জেলেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার সামরিক জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে রাখাইনের বেশিভাগ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। টেকনাফের ওপারে রাখাইনের মংডু টাউনশীপ পুরোটাই এখন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :