ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন আজিম উদ্দীনের (৫৫) কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান ওরফে আয়নালের লোকজন। দাবিকৃত এক লাখ টাকা না দেওয়ায় এবং আরেকটি মসজিদের কমিটির কাছে ১৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুহাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় মসজিদের মুয়াজ্জিন আজিম উদ্দীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নবী (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেন প্রতিবেশীরা। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাকে দুর্গাপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কুহাড় মোড় ওয়াক্তিয়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আহত আজিম উদ্দীন বলেন, বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের উদ্দেশে মসজিদে যাচ্ছিলাম। পথে পূর্ব শক্রতার জের ধরে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আয়নালের ইন্ধনে তার লোকজন আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মৃত নিরুর ছেলে আলী ও আলীর ছেলে সালাউদ্দিন এবং নবীর নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমার ওপর অর্তকিত হামলা চালান। এক পর্যায়ে তারা আমাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে সেনাবাহিনী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
তিনি আরো বলেন, কুহাড় উত্তরপাড়া জামে মসজিদের কমিটি ও মুসল্লিদের কাছে ১৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় এবং এ ঘটনায় রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়নালের ইন্ধনে তার লোকজন আমার ওপর হামলা করেছে।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনকে আটকে রেখে নির্যাতনের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় হামলার সাথে জড়িত নবী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান ওরফে আয়নালের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :