আইরিন হক, বেনাপোল প্রতিনিধি(যশের): যশোরের বেনাপোল বন্দর কাগজপত্র বিহীন একটি গার্মেন্টসের চালান শুল্কফাকি দিয়ে বন্দর থেকে পাচারের সময় আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। চালানটি সরকারের প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল।
সেমবার(৩০ সেপ্টোম্বর) বিকাল ৫ টায় বন্দরের ১৭ নাম্বার পণ্যগার থেকে অতি গোপনে বাংলাদেশি ট্রাকে উঠানোর সময় অবৈধ চালানটি আটক হয়। বন্দরের ১৭ নং শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় পাচার হচ্ছিল শাড়ি ও প্যান্ট,শার্টের পণ্য চালানটি।
জানা যায়, সোমবার বিকালে উন্নত মানের গার্মেন্টস পণ্য শাড়ি থ্রি-পিছ, প্যান্টের পিস, বোরখা কাপড় সুফার কভার বন্দরের ১৭ নাম্বার শেড থেকে কাভারভ্যানে উঠানো হয়। এসময় গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের একটি গ্রুপ চালানটি আটকালে কৌশলে পণ্য বোঝায় ট্রাক রেখে পালিয়ে যায় শেড ইনচার্জসহ চক্রটি। পরে শেড ইনচার্জ
মতিন উপস্থিত হলেও পণ্যের বৈধতার কগজ পত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়া কে বন্দরে পণ্য খালাস করেছে কে লোড করছিল সে বিষয়ে মুখ খেলেনি তিনি। তবে নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা গেছে, প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী ও শেড ইনচার্জ মিলে সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যান পণ্য চালানটিতে কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শেডে থেকে পাচার করেছে। এবং চক্রটি একাধিকবার এমন অনিয়ম করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে বেনাপোল সিএনডএফ এবং এ্যাসোসিয়েশন এর বই এবং ওই সিএন্ড এফ এর অফিস অনেক খুজাখুজি করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থল বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায় ওই নামে কোন সিএন্ডএফ এজেন্ড নাই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোন বর্ডার ম্যানকে তারা চিনে না। কৌশল অবলম্বনে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হতে পারে।
স্থানীয় সাধারন ব্যবসায়ীরক জানায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যেমে স্থল বন্দর ও কাস্টমস এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাকি দিয়ে অসাধু আমদানি কারক ও সিএন্ড সদস্যরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বন্দরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থ্যার নিরাপত্তাকর্মী ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও কাজে আসছেনা অনিয়ম রোধে।
পণ্য আটক করে পরীক্ষন করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, কি পরিমান পণ্য আছে তা ওজন করে মঙ্গলবার জানানো যাবে। তারা আরো জানায় আমদানিকৃত এসব পণ্যর কোন কাগজপত্র এবং পণ্যর দাবিদার কোন মালিক পাওয়া যায়নি। তথ্য প্রদানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির অবৈধ পণ্য চালান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি কাস্টমস তদন্ত করছেন। তবে বন্দরের কারো দায়িত্ব পালনের অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :