শিরোনাম
◈ শিবির ও জামায়াতকে ডিহিউম্যানাটাইজ করে ফেলা হয়েছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ তৃণমূল নেত্রী রাজন্যার হাত ধরে পর্দায় আরজি কর কাণ্ড ! ◈ শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নিলো মালিকপক্ষ, কাল থেকে সব কারখানা খোলা ◈ দেড় বছর পর জাতীয় নির্বাচন, যা বলছে বিএনপি-জামায়াত ◈ প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস পাবেন :  ড. আসিফ নজরুল ◈ শর্টগানের গুলির চিহ্ন মিলেছে আবু সাঈদের শরীরে  ◈ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য যে ৫ নেতাকে দুষলেন সালমান এফ রহমান ◈ কেন নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হলো না, জানাল ভারত ◈ যৌথবাহিনীর অভিযানে ফেনীতে যুবদলের দুই কর্মী গ্রেপ্তার ◈ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈশ্বরদীর ১০০ বিদ্যালয়ের ৫০টি পদে কোন শিক্ষক নেই

রিয়াদ ইসলাম, ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক- সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয় চলছে এক থেকে দুজন শিক্ষক দিয়ে। ফলে পাঠদান চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা । ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার কার্যক্রম।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীতে ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০৭। মোট ৮৯৯টি পদের মধ্যে শিক্ষক আছেন ৮৪৯ জন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১০০ ও সহকারী শিক্ষকের সংখ্যা ৭৯৯। প্রধান শিক্ষক পদে ৩৮ এবং সহকারী শিক্ষক ১২ জনের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ, বিদ্যালয় পরিচালনাসহ অন্যান্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে সহকারী শিক্ষক-সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ছয় থেকে সাতজন শিক্ষক বলেন, প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে পালাক্রমে পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী অনেক। সে তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে।

উপজেলার পাকশীর রূপপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১৬১ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ছয়জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম জানান, শিক্ষক-সংকট থাকায় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য শাখা গঠন করা যাচ্ছে না। একজন শিক্ষক ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করার নিয়ম থাকলেও তাঁদের বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে গড়ে ১১৩ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষককে ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলার যুক্তিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজওয়ান কোরেশী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান—সবই করাতে হচ্ছে তাঁকে। শূন্যপদ পূরণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অবহিত করার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দীন বলেন, প্রায় কয়েক বছর ধরে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি বন্ধ এবং নতুনভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় পর্যায়ক্রমে শিক্ষক-সংকট বেড়েই চলেছে। সমিতির পক্ষ থেকে  শিক্ষক নিয়োগ ও শূন্যপদ পূরণে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে যথাসময়ে সেই তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক পাওয়া গেলে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়