শিরোনাম
◈ কোচ গি‌লে‌স্পি ও পা‌কিস্তান ক্রিকেট বো‌র্ডের দ্বন্দ্ব আইসিসি পর্যন্ত গড়ালো ◈ ভারতে রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠছে ব্যাগ: প্রিয়াঙ্কার ‘সহানুভূতি’র পাল্টা বাঁশুরির ‘দুর্নীতি’র বার্তা ◈ সড়কে ময়লা ফেলে তীব্র যানজট; বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলন ◈ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি, বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ ◈ দুবাই বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় পাকিস্তানি টিকটকার গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে কাতার, এলএনজি চুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগেও আগ্রহ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ‌লিও‌নেল মেসির আবেগঘন বার্তা ◈ বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংস্কার আলোচনা: প্রতিটি বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, জানালেন আলী রীয়াজ ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে ৩৫ টাকার জন্য মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে ৩৫ টাকার জন্য মেয়েকে হত্যা করার দায়ে  বাবাকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাস বিনাশ্রম করাদন্ড ভোগ করতে হবে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দয়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।  রায় প্রদানের সময় আসামী আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম- মো. হারুন শেখ (৩৭)। তিনি মধুখালী উপজেরার ভুষণা লক্ষণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মো. হারুন দুটি বিবাহ করেন। তার প্রথম স্ত্রীর বড় সন্তান ১০ বছর বয়সী মেয়ে মাকসুদা আক্তার ওরফে হিরা। শিশুটি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মাকসুদা তার বাবা হারুনের পকেট থেকে ৩৫ টাকা চুরি করে স্কুলে যায়। দুপুরে হারুন মাঠ থেকে কাজ করে বাড়িতে এসে জামার পকেটে টাকা খুঁজে পান না। মেয়ে মাকসুদা স্কুল থেকে আসার পর তার কাছে টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে মেয়ে অস্বীকার করে। 

পরে বাবা হারুন মেয়েকে মারপিট শুর করলে এক পর্যায়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে মাকসুদা। পরে হারুন মেয়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে ঘরের মাচার মধ্যে রেখে দেয়। এ ঘটনা মাকসুদার ভাই শোয়ায়েব (তখন ৮ বছর) দেখে ফেলে। শোয়েব চিৎকার দিলে হারুন পালিয়ে যান। এলাকাবাসী মাকসুদাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়