শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেনাবাহিনীর নজরদারীর পরও ধোপাজান নদীতে বালু চুরির উৎসব

আল হেলাল : সুনামগঞ্জের ইজারাবিহিন ধোপাজান চলতি নদীতে সেনাবাহিনীর নজরদারীর পরও ৮৭টি স্টিলবডি ও ৩০/৪০টি পঙ্গপাল নৌকা নিয়ে রাতের বেলা বালুচুরি চলছে। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই দুলাল আহমদসহ একদল পুলিশ ধোপাজান নদীতে নিয়মিত টহলের দায়িত্বে থাকার পরও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি সরকারের মূল্যবান খনিজ সম্পত্তি ডাকাতির মহোৎসব। 

রাত সাড়ে ৩টায় একসাথে ৮৭টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা ও ৩০/৪০টি পঙ্গপাল নৌকায় ড্রেজার ও বোমা মেশিন দ্বারা ধোপাজান নদীর তীর কেটে ও নদীর তলদেশ হতে বালি বুঝাই করে মুহুর্তের মধ্যে অবৈধ বালিবাহী স্টিলবডি ও পঙ্গপাল নামের নৌযান ও নৌকাগুলো বলতে গেলে অনেকটা বিনাবাধায় পুলিশের সামনে দিয়ে অতি দ্রæতবেগে বের হয়ে যায়। 

ধোপাজান নদীতে চোরাকারবারী প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্বপালনরত প্রত্যক্ষদর্শী যুবদল নেতা রাসেল মিয়া,ফকির মিয়া,তানভীর আহমদ,নেহার উদ্দিন,আক্তার হোসেন ও মিছির আলীসহ ইব্রাহিমপুর ও পূর্ব সদরগড়ের বাসিন্দারা জানান,আমরা গত কয়েকদিন যাবৎ নদীতে টহলরত চেকপোস্টের পুলিশ দলের সহায়তায় নদীর পাড়ে অবস্থান করি। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার পরে ধোপাজান চলতি নদীতে সেনাবাহিনীর নজরদারীর পরও ৮৭টি স্টিলবডি ও ৩০/৪০টি পঙ্গপাল নৌকায় রাতের বেলা বালিচুরির এমন মহোৎসব এই প্রথম
দেখেছি। পুলিশের হুইসেল ও হাকডাক কোন কিছুই শুনেনি মানেনি চোরাকারবারীরা।


সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওয়ালী আশরাফ খান বলেন,চোরকারবারীরা কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে আগাম ঘুষ দিয়ে নৌকা বের করেছে তা আমি জানিনা। আমার কর্তব্যরত কর্মকর্তা যখন নিরুপায় হয়ে আমাকে জানিয়েছে তখন আমি সাথে সাথে কন্ট্রোলরুমে উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে তাৎক্ষনিক অবস্থার কথা জানিয়েছি। তিনি বলেন,আমাদের চেষ্টার কোন ত্রæটি
ছিলনা। 

এ বিষয়ে  সদর মডেল থানার নবাগত ওসি নাজমুল হোসাইন বলেন,আমি আজকেই যোগদান করেছি। কে কত টাকা নিয়ে কিভাবে নদী হতে নৌকা বের করে সরকারের মূল্যবান খনিজ সম্পত্তি লুটতরাজ করে তা বের করার চেষ্টা করবো। 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,একজন অজ্ঞাত দরবেশধারী ব্যক্তি পুলিশ প্রশাসনের কোন এক বড় কর্মকর্তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রবল নজরদারীর পরও পর্দার আড়ালে থেকে কাইয়ারগাঁও,হুরারকান্দা,ইব্রাহিমপুর,বালাকান্দা বাজার,সৈয়দপুর,ভাদেরটেক মনিপুরিহাটিসহ ধোপাজান নদীর দুই পাড়ের চিহ্নিত ও অস্থানীয় চোরাকারবারীদেরকে সংগঠিত করে বড় স্টিলবডি ৩০ হাজার টাকা,বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ২০ হাজার টাকা ও পঙ্গপাল কাডবডি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা রেটে ঘুষ ভাগিয়ে নিয়ে ধোপাজান চলতি নদীর বালি লুটতরাজে
নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রশাসন এসব গডফাদার ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়