শিরোনাম
◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন ◈ কোন পথে সেভেন সিস্টার্স, ভারতের এত ভয় কেন? ◈ প্যাভিলিয়ন থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানো: 'বিশ্বের কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে ◈ সাকিব আল হাসা‌নের বিরুদ্ধে দুদকের কমিটি গঠন ◈ বাংলা‌দে‌শের ১৯১ রান শোধ ক‌রে ৮২ রা‌নের লিড নি‌লো জিম্বাবু‌য়ে ◈ আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতি কতজনকে মাফ করেছেন জানতে চান আদালত ◈ ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ◈ বিশেষ বিসিএসে দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে লন্ডনে একসঙ্গে সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী!

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:২৮ রাত
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পলাশের চাষিরা

মাহবুব সৈয়দ পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : বাজারে পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বি ত হওয়ায়সহ বিভিন্ন কারণে দিনে দিনে নরসিংদীর পলাশে কমছে পাটের চাষ। গত কয়েক বছরে লোকসানের অজুহাতে বন্ধ হয়ে যায় কয়েকটি পাটকল। এরমধ্যে নরসিংদীর বৃহত্তম ইউএমসি ও বাংলাদেশ জুটমিলও রয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাটকল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের পাটক্রয়ে অনাগ্রহে বাজারে পাটের চাহিদা কমে যাওয়ায় পাট চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বি ত হচ্ছেন। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এ অ লের পাটচাষিরা। 

পলাশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানায়, পলাশ উপজেলায় দেশি ২০ হেক্টর, তোষা ৩০ হেক্টর ও কেনাফ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। 

গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম হওয়ার বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, খাল-বিল, পুকুর ও মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের ফলে পাট জাগ দেয়ার পরিকল্পিত জলাশয় তা কমে গেছে। সরকারিভাবে কিছু পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটের চাহিদা কমে এসেছে। এছাড়া অন্যতম কারণ হিসেবে পাট চাষের তুলনায় অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষকরা পাটচাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এরপরও সরকারিভাবে বীজ, সারও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে কৃষকদের পাটচাষের জন্য উদ্ধুদ্ধ করার কাজটি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। 

সুলতানপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আগে মাঠের পর মাঠ এই এলাকার কৃষকরা পাটচাষ করতেন। কিন্তু আজ বাজারে পাটের উপযুক্ত মূল্য না পেয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একই এলাকার আরমান নামে আরেকজন কৃষক জানান, পাটচাষ করে যে অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে জমির শ্রমিকের পয়সাই উঠেনা। তাই পাটচাষ এখন আর আগের মতো নেই। 

তবে অনেকেই পাটখড়ির জন্য পাট চাষ করে থাকেন। এরফলে অনেকেই এ ফসল ছেড়ে দিয়ে লাভজনক ফসলের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। ফলে বাংলার ঐতিহ্য ও রফতানিযোগ্য অর্থকরী ফসল সোনালি আঁশ পাটের উৎপাদনমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এ উপজেলায়। 

পাটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে প্যাকেজিং, শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ, বাজার-ব্যাগ, গৃহস্থালি ও সৌখিন কাজে পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে পাট চাষি, পাট শিল্প তথা দেশের পাটকলগুলোকে জাগিয়ে তুলে বাজারে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলেই পাটচাষিরা আবার পাটচাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন পাট ব্যবসায়ীরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়