মোঃ আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতার জামিন নামঞ্জুর করায় আদালতে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ইসমাইল বিশ্বাস, আব্দুস সালাম ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফের জামিন নামঞ্জুর হওয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বিচারক কুমার শিপন মোদক এজলাস ছেড়ে উঠে যান। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে ‘আপোসরফায়’ আসামীরা এজলাস থেকে বের হয়ে এসেছেন।

পরে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা এজলাস থেকে বের হয়ে বিােভ মিছিল ও সমাবেশ করে আদালত চত্বরে। এসময় আগামী সাত দিনের মধ্যে বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

প্রত্যদর্শী আইনজীবীরা জানান, ২০২২ সালের ২২ নভেম্বরে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আজিম আহম্মেদ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নামে মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি আরও ৫০-৬০জন। সম্প্রতি পুলিশের এ মামলায় নিম্ন আদালতে ওই ৩ জন বাদে বাকি আসামীরা হাজিরা দেন। সেদিন ওই ৩ আসামী হাজিরা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। প্রেেিত তারা রোববার চীফ জুডিশিয়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক কুমার শিপন মোদক তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।

এসময় এজলাসে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিচারকের এ রায় মানতে না পেরে সেখানে হট্টগোল শুরু করেন। আদালতের ভেতরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসময় বিচারক কুমার শিপন মোদক এজলাস ছেড়ে উঠে যান। পরে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিচারকের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা আদালত থেকে বের হয়ে চলে আসেন।

আসামী পরে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এতেই এজলাসেই উত্তেজেনাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে জৈষ্ঠ্য আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা বিচারকের সঙ্গে কথা বললে বিচারক জামিন আবেদন প্রত্যাহার করতে বলে জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই প্রেেিত আসামীরা এজলাস বেরিয়ে আসেন’।

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালের রাষ্ট্রপরে আইনজীবী মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ত্র মামলায় বিএনপিপন্থি ৩ আসামীর জামিনের দিন ছিল। প্রথমে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক। এসময় উনারা হৈচৈ শুরু করেন। আইনজীবী সমিতির নেতারা বিচারকের চেম্বারের যান। আলোচনার পর বেল পিটিশন (জামিন আবেদন) প্রত্যাহার করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়’।