শিরোনাম
◈ কাতারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পেলেন লালগালিচা সংবর্ধনা ◈ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও সরিয়ে দেওয়া হলো ◈ নকশা না মেনে গড়ে ওঠা রাজধানীর ৩ হাজার ৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান ◈ যেসকল সেবা মেলে না এনআইডি লক হলে ◈ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত ◈ সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী ◈ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা ◈ গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দুই অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক অব্যাহতি দিল এনসিপি ◈ আবারও স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, দেশে ভরিতে কত বাড়লো? ◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার

নিনা আফরিন ,পটুয়াখালী : বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর।পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।হটাৎ বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বিপদে পড়েছেন গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার সহ জেলেরা।নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পটুয়াখালীর মহিপুর-আলিপুর মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গার কয়েক হাজার মাছ ধরার ট্রলার।

সরজমিনে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলীপুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নোঙর করে রাখা হয়েছে কয়েক হাজার মাছে ধরার ট্রলার।উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের কবল থেকে জান ও মাল রক্ষার তাগিদে এসব ট্রলার নিয়ে জেলেরা তীরে ফিরে এসেছেন।তবে অধিকাংশ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে শূন্য হাতে,মাছ ছাড়া।তাদের ভাষ্যমতে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাছ না ধরেই চলে আসতে হয়েছে।

এফবি এলমা-২ ট্রলারের জেলে মহিউদ্দিন জানান,প্রায় ৪ লক্ষ  টাকার বাজার নিয়ে তাদের ট্রলার সাগরে গিয়েছিলো কয়েকদিন আগে।সমুদ্র উত্তাল থাকায় চলে আসতে হয়েছে।মাছ পায়নি,এবারের ট্রিপে তেলখরচ ও উঠবে না।তাদের ট্রলারে প্রায় ২০ জন স্টাফ রয়েছে ,সবাই এখন বেকার বসে দিন কাটাচ্ছে।

আলীপুর মৎস্য বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরতে হতো না জেলেদের।বর্তমানে সমুদ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই,তাই সমুদ্র থেকে সবাই ঘাটে ফিরে আসছে।প্রতিটা ট্রলারে তিন থেকে চার লাখ টাকার বাজার করে দেওয়া হয়,কিন্তু সে অনুযায়ী কোনো মাছের দেখা মিলেনি।আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সুযোগ নেই।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে জেলেদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে ট্রলারের মালিক ও জেলেদের। মাঝে আবহাওয়া কয়েকদিন ভালো ছিল, কিন্তু এখন আবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারনে হতাশ মৎস্য ব্যবসায়ীরা এবং দুশ্চিন্তায় রয়েছে এখানকার জেলেরা।আশা করি আবহাওয়া খুব শিগ্রই ভালো হয়ে যাবে, তখন জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে পারবেন।

কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।জেলেদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়