বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক সমন্বয়ক মীর নীলয় গ্রুপের বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধির বরগুনায় সফর করার কথা ছিল। এ বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতে বরগুনার সমন্বয়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপও সেখানে যায়। তখনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।

এক পর্যায়ে মীর নীলয় ও মুহিত নিলয়ের গ্রুপ বের হয়ে পৌরসহরের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থান নেন। রেজাউল করিমের গ্রুপ ওই এলাকায় এলে তাদের ওপর হামলা চালায় নীলয়ের গ্রুপ। এতে সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজন আহত হন। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে সমন্বয়ক রেজাউল করিম ও আহত আরিফকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

বৃহস্পতিবার সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী। ছাত্রলীগ কর্মী মীর নিলয়, মুহিত নিলয়, সাজিদ,মাহিদ ও মুভিনসহ আরো অনেকে গত রাতে আমার ওপর হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমিসহ চারজন আহত হই। এ ঘটনায় আহত আরিফ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন।

এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে মীর নীলয় ও মুহিত নীলয় বলেন, মারধরের বা হামলার অভিযোগ সত্য নয়। হামলার কোনো প্রমাণ থাকলে ওদের দেখাতে বলেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন। এ ঘটনায় আহত আরিফ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎস: ইত্তেফাক।