শিরোনাম
◈ জাহাজ থেকে ১৯ নাবিক বিদেশে পলায়ন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারালো অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরে গেলো বাংলাদেশ ◈ রাহাত ফতেহ আলী খান ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা  বিপিএল মিউজিক ফেস্টে গান গাইবেন ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় দিনে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ! ◈ একবার চার্জে ৬৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে, সৌদি আরবে প্রথম হাইড্রোজেনচালিত বাস চালু ◈ আইজকে থিক্যা সব হিসাব কিতাব তুই দিবি, যদি না দ্যাস, তোরে কিন্তু একদম : চাপাতি হাতে সন্ত্রাসী ◈ আফ্রিকার দেশ ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮ ◈ নারী ক্রিকেটারদের জন্য প্রথম শ্রেণির চুক্তি চালু করছে বিসিবি, থাকবে উইনিং বোনাস ◈ গ্রেফতারি পরোয়ানা ভারতীয় ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুর্গাপুরে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন  আলাল উদ্দিন

ধনেশ পত্রনবীশ দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি  :  প্রথমবার মাল্টা চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন আলাল উদ্দিন। তার বিশাল বাগানের প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ জাতের বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টার ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। মঙ্গলবার  নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের আরাফাত এগ্রো ফার্মের মালিক আলাল উদ্দিনের মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

২০২১ সালে অনাবাদি পতিত এক একর জমিতে মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলেন আলাল উদ্দিন। এই পতিত জমি প্রস্তুত,রাসায়নিক ও জৈব সার দিয়ে শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত তার সর্বমোট খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানে বাগানে ৩ শতাধিকের বেশি চারা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছরেই মাল্টার বাজারজাতকরণ করতে পেরেছেন। প্রথমবার মাল্টা বিক্রি হয় ১ লাখ টাকার বেশি। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ২ থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন। তাতে এ বছরই তার সব খরচ উঠে আসবে।

আলাল উদ্দিনের মাল্টার বাগান ঘুরে দেখা গেছে,মাল্টার ওজনে প্রতিটি গাছের ডাল নূয়ে পড়েছে। আকারেও বড় ও দেখতেও আকর্ষণীয়।  অনেক বেশি যতেœ নিয়েছেন বাগানের।

আলাল উদ্দিন জানান,গত বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তার সব খরচ মিটিয়ে লাখ টাকা লাভবান হবে তিনি। আগামী বছর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার অধিক বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী।

আলাল উদ্দিন বলেন,আমি ঢাকায় ফার্মাসিউটিক্যাল চাকরি করছি। আমাকে এ চাষে উদ্ধত করেছে আমাদের কৃষি অফিসের লোকজন। গ্রামে আমার পতিত জায়গায় কৃষি অফিস থেকে কিছু চারা নিয়ে প্রথমে শুরু করি। পরবর্তীতে দেখি গাছের ধরন বেশ ভালো। পরপরই আর কিছু চারা কিনে আনি ভালোভাবে যতœ নিয়েছি এক বছরই গাছে মুকুল আসে গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে তাতেই আগ্রহ আরো বেড়ে যায় ভালো ফলন হবে ধারনায় চিন্তা করলাম জমি ফাঁকা না রেখে পুরো এক একর জমি পুরোটাই মাল্টা বাগান করি। বাগানের অনেক যতেœ করেছি এবং আমি সফলতাও পেয়েছি। 

আলাল উদ্দিন আরও বলেন,আমার মাল্টা খুবই সুস্বাদু হবে। বাজারে যেটা পাওয়া যাচ্ছে এখন সেটা অতি তারা তারি তুলে ফেলার জন্য সুস্বাদু হয়না তবে আমি সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরুর দিকে বাজারে তুলবো এতে রসালো হবে। সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এই মাল্টার ব্যাপক চাহিদা থাকবে।

মাল্টা বাগানের পরিচর্যাসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন আলাল উদ্দিনের বোন জামাই এমদাদুল হক। তিনি জানান,শুরু থেকেই খুব যতœ নিয়েছেন। গত বছরেও ভালো ফলন হয়। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মাল্টার আকারও বড় এবং রসালোও হবে। এ মাসের শেষের দিকে মাল্টার বাজারজাত করা যাবে। 

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস জানান,চাষি আলাল উদ্দিন মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ফলটি পুষ্টিকর বিশেষ করে রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। ওনার বাগানে এ বছর যে পরিমাণ ফলন হয়ে তাতে তিনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। ওনার মাল্টা বাগানের গাছ প্রতি ১৫-২০ কেজি হারে বাজারজাত করতে পারবে। কমপক্ষে ১০০ টাকা করেও যদি বিক্রি করেন তাহলেও প্রতি গাছে ২ হাজার টাকার বেশি লাভবান হবেন। তার এই সফলতা কারণ যদি বলি সবটাই ওনি আগ্রহ ও যতœ নিয়েছেন। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা ছিল।

তিনি আরও বলেন,অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি সুস্বাদু পুষ্টিকর রসালো ফল মাল্টা বারি-১ চাষে ঝুঁকছেন দুর্গাপুর উপজেলার চাষিরা। এ বছর দুর্গাপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছে। প্রতি বছরই মাল্টার চাষ বাড়ছে। প্রায় ৩০০ জন চাষি ছোট-বড় বাগানে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়