আরিফুজ্জামান চাকলাদার : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে'র কর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র সমাজ। গত ১০ সেপ্টেম্বর পৌর বাজার চৌরাস্তায় নাজমুল হাসানের এক দফা পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে নয়টি অভিযোগ লিখিত আকার পেশ করেন ছাত্র সমাজের নেতা মো. রায়হান রনি। তিনি বলেন,ডা.নাজমুল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়িত্ব নিয়ে অনিয়য় ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একই স্থানে আট বছর নিয়ম বহির্ভূত চাকরির সুবাদে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পরে তদন্ত আসলে উপর মহল পর্যন্ত টাকা দিয়ে সেই তদন্ত তার পক্ষে নিয়েছে।
তার স্ত্রী ডাক্তার শাহতাজ আলমকে বদলি করে এনে অফিস না করিয়ে দুই বছর বেতন তোলা হয়। ১৭ সালের ৬ মাসের মাতৃকালীন ছুটি নিয়ে ছিল নাজমুলের স্ত্রী। তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন না।অতিরিক্ত রোগী ভর্তি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। তার কোয়াটারে ১৩ হাজার টাকার জায়গায় ৩৩০০ টাকা সরকারকে ভাড়া দেয়। করোনা ভ্যাকসিন দিয়া অফিসারদের ৫০০ টাকা ভাতা না দিয়ে তাদেরকে ফ্রি ডিউটি করানো হয়েছে।
সুপারভিশন পরিসংখ্যানবিদ ব্যয় ৪৮ হাজার ৩৫০ টাকার নিজ পকেটে ঢুকিয়েছেন। করোনায় ছয় থেকে আট জনকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে সিটে দেখানো হয়েছে। সেখানে কোন রোগী ছিল না। প্রাইভেট গাড়িতে করোনা রোগিদের আনা নেয়ার জন্য ভুয়া ভাউচার করে ৯৫০০০ টাকা আত্মসাৎ । এক কর্মচারীর নামে চল্লিশ হাজার টাকা ভাউচারে তাকে চার হাজার টাকা দিয়েছে বাকি টাকা নিজ পকেটে। রোগী অবহেলা করার দায় মারা গেলে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে মীমাংসা করেছে। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে রেজিস্টার এর নামে ৫০০০ টাকা ১৩ টি প্রতিষ্ঠানের টাকা তার পকেটে। অভিযোগ নিয়ে গেলে রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ সবসময় করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, আমার হাসপাতালে কিছু ছাত্র অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ করেছে। কিন্তুু কি বিষয়ে করেছে তা আমাকে অবগত করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমীন ইয়াসমীন বলেন,আমার কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি।সিভিল সার্জনের বরাবর দিয়েছে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা ওয়েব সাইট মোবাইল ০১৭১৭২৮৫৭২১ নাম্বারে বারবার কল দিলে কল রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :