শিরোনাম
◈ ১ রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ◈ মসজিদে মসজিদে তারাবির জামাতে মুসল্লিদের ঢল ◈ মার্চ মাসে সরকারি ছুটি কয়দিন? ◈ আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, সংঘাত পরিহার করি:  প্রধান উপদেষ্টা ◈ সরকারে প্রতিনিধিত্বকারী সব ছাত্রকে পদত্যাগের আহ্বান নুরের (ভিডিও) ◈ ডিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যেনো পরিশোধ করা হয়: তামিম ইকবাল ◈ ৬০ হাজার বছর চলার মতো জ্বালানির সন্ধান পেয়েছে চীন ◈ পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ চায় এনবিআর  ◈ রমজানের তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া ◈ ৪২ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করে কোচ মরিনহোর মামলা

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বোরহানউদ্দিনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভাঙন, দ্রুত মেরামতরে দাবি

ফরহাদ হোসেন, ভোলা: ভোলার বোরহনাউদ্দিনে তেঁতুলিয়া নদীর অতি জোয়ারের চাপে প্রায় ২৭ বছরের পুরনো বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে হাজার হাজার বসতঘর, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লঞ্চঘাটসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় অতি জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধটির বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। 


জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন সংস্কার না হওয়ায় উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর, বাতান বাড়ি দরজা, দরুন খাল, বুড়ি বাড়ির দরজা, চর গঙ্গাপুর হাসানই বাড়ির দরজা, চর গঙ্গাপুর ভায়াল বাড়ির দরজা ও ফকির বাড়ির দরজাসহ ৭টি পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদীর অতি জোয়ারের পানির চাপে ভাঙনের দেখা গিয়েছে বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি।

স্থানীয় শিবপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে তাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়। এরপর প্রায় ২৭ বছর আগে এই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ হলে বাঁধের পাশে জমি কিনে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়া নদীর অতি জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটির বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তারা চিন্তিত।
 
একই এলাকার জাকির হোসেন, মো. ফরিদ, মো. সোহাগ, জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করে আসলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাদের বসতবাড়ি নদীতে চলে যাবে। আর অন্যস্থানে গিয়ে নতুন করে জমি কিনে ঘর নির্মাণ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা আরো জানান, তারা বেড়িবাঁধের আশপাশের কৃষি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ধান, গম, ডাল ও সবজি চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনা করে আসেছন। কিন্তু বাঁধটি ভেঙে গেছে, এতে তাদের কৃষি জমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ভাঙনের সৃষ্টি হবে। 

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো ডিভিশন-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ১৯৯৭ সালের দিকে ভোলা ইরিগ্রেশন বা ভোলা সেচ প্রকল্পের আওতায় বোরহানউদ্দিনের কালিগঙ্গা থেকে লালমোহনের বদনপুর ইউনিয়নের রোজিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মেরামত না করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রæত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামতের কাজ করা হবে। বাঁধের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির জন্য সিসি বøক নির্মাণেরও আশ্বাস দেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়