শিরোনাম
◈ মার্চ মাসে সরকারি ছুটি কয়দিন? ◈ আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগ-বিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, সংঘাত পরিহার করি:  প্রধান উপদেষ্টা ◈ সরকারে প্রতিনিধিত্বকারী সব ছাত্রকে পদত্যাগের আহ্বান নুরের (ভিডিও) ◈ ডিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক যেনো পরিশোধ করা হয়: তামিম ইকবাল ◈ ৬০ হাজার বছর চলার মতো জ্বালানির সন্ধান পেয়েছে চীন ◈ পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ চায় এনবিআর  ◈ রমজানের তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া ◈ ৪২ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করে কোচ মরিনহোর মামলা ◈ ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে দেশে ফিরলো বাংলাদেশ দল ◈ জামায়াত আমিরের হোটেল বন্ধের আহ্বানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:২৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হরিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশুর চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে অসহায় পরিবার

শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু অনিক ইসলাম (৫) এর চিকিৎসার ব্যয় বহন করা নিয়ে বিপাকে রয়েছে শিশুর অসহায় দিন মজুর বাবা।

আহত শিশু ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে। তিনি তিন বছর যাবৎ উপজেলার ঝিটকা বাজারে কুলির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে এবং বাজারের পাশেই বাসুদেবপুর এলাকায় লালমুদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকেন। মা আছিয়া বেগম ঝিটকা এলাকায় একটা এনজিওতে রান্নার কাজ করেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে আছিমা বেগম ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে আসছিলেন। বাসার কাছাকাছি আসলে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইজিবাইক ঘোরাতে গিয়ে অনিকের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দেয়। এতে করে গুরুতর আহত হয়ে অনিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পরে এক্স-রে করলে দেখা যায় অনিকের বাম পায়ের হাড় চার টুকরা ও ডান পায়ের হাড় দুই টুকরা হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৬ হাজার টাকা খরচ হলেও বাকি চিকিৎসায় প্রায় দুইলাখ টাকার অধিক খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এতে ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করা নিয়ে বিপাকে পরেছেন দিন মজুর বাবা আনিছুর রহমান।

তিনি জানান, আমি সামান্য দিন মজুর। বাজারে কুলির কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাইতেছি। এখন ছেলের পেছনে অনেক টাকা খরচ হবে। যা আমার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না। সমাজের বিত্তবানেরা যদি আমার মাসুম বাচ্চার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে আমার ছেলেটাকে সুস্থ করাতে পারতাম।

মা আছিয়া বেগম জানান, আমার একমাত্র মাসুম বাচ্চার চিকিৎসার খরচ যোগাতে খুব হিমশিম খাইতেছি। আমার স্বামী বাজারের সামান্য কুলির কাজ করে। আমিও একটা এনজিওতে রাধুনির কাজ করতাম। ছেলের চিকিৎসার পেছনে ঘোরাঘুরিতে আমার কাজটাও চলে গেছে। এখন চিকিৎসা করাতে যে টাকা খরচ হবে তা আমার পক্ষ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার আবেদন, আমার মাসুম বাচ্চার চিকিৎসার জন্য তাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

একই বাড়ির ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম জানান, অনিকের বাবা একজন দিনমজুর তার মা ও একটা অফিসে রাধুনির কাজ করতো। ছেলেকে সময় দিতে হয় বলে, তার চাকুরিটাও চলে গেছে। এ অবস্থায় অনিকের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো তাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু এগিয়ে আসে। তাহলে'ই ছেলেটা সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তাই আমি সকলের কাছে, তাকে সহায়তার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবেশী সিকিম আলী জানান, আনিসুর এখানে ভাড়া বাসায় থাকে। দিনমজুরের কাজ করে তাদের সংসার চালাতেই কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় তার বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করে, বিছানায় পরে আছে। এখনো পর্যন্ত শিশুটাকে চিকিৎসা করাতে ২৫/২৬ হাজার টাকার মতো চলে গেছে। আরও শুনেছি ২লাখ টাকার উপরে খরচ হবে, যা এর পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। তাই আপনাদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ জানাচ্ছি, সবাই তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসুন। অন্যথায় বাচ্চাটাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে না।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, সরকারি ভাবে ইনস্ট্যান্ট অনুদান দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তিনি যদি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবেদন করে, সেক্ষেত্রে আবেদনটি জেলায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে বছর শেষে একটি বরাদ্দ আসে। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ আসলে, তাকে সহযোগিতা করা হবে। তবে এটি অনেক সময় সাপেক্ষের ব্যাপার।

উল্লেখ্য: শিশুটিকে সহায়তা করাত জন্য, তার মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার (০১৭৭-৪৬৪২৪৮২,  নগদ একাউন্ট)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়