শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৩ দুপুর
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিক্ষকের আত্মহত্যা 

ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনার আমতলীতে ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে  আত্মহত্যা করেছেন নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক। মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে তিনি লিখেন  ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত নজরুল ইসলাম আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।


জানা গেছে, উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খানের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে গত দেড় বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভুঁইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। ওই দম্পতির এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। 


স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার সকালে স্ত্রী খাজিদা তার ভাসুরকে জানান, আমি আমার বাবার বাড়ি চলে গেলাম আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে। এ কথা বলে খাজিদা বেগম বাবার বাড়ি চলে যায়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নজরুল ইসলামকে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় পুলিশ নজরুলের পরা কাপড়ে প্যাঁচানো একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা ঢাকা দিয়েছেন।


নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খান জানান, আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেয়ে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি চাই।


আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়