শিরোনাম
◈ আমরা আমাদের তরুণদের চীনে পড়াশোনা ও ভাষা শেখায় উৎসাহিত করব : প্রধান উপদেষ্টা ◈ শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ ◈ মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস ◈ বাংলাদেশের নতুন বাঁধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধিদল (ভিডিও) ◈ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চান শাজাহান খান ◈ চাঁনখারপুল গণহত্যা : সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ◈ এবার ব্যাংক হিসাব তলব মডেল মেঘনা আলমের ◈ করফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার: সিপিডি ◈ দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে ৩৫ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৩৪টি জমা : অস্ত্র জমা দেননি তাহের পুত্র টিপু 

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক আলোচিত মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে।

ছাত্র–জনতার গণ–আন্দোলনকে ঘিরে গত ৪ আগস্ট সংঘর্ষে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টানা ৪ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থী–জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু ও তাঁর বাহিনী। এতে ৪ শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন অন্তত দুই শতাধিক। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন গুলিবিদ্ধ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই দিন সকালে মাদাম ব্রিজ এলাকায় ও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে টিপু ও তাঁর লোকজন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। এতে ৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হন। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দিন টিপুসহ অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপন করেন।

জেলা প্রশাসনের জে এম শাখার তথ্যমতে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে জেলা প্রশাসন ব্যক্তিমালিকানা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করে ৩৫টি। এসব লাইসেন্সের বিপরীতে ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে ৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র। জমা পড়া অস্ত্রের মধ্যে পিস্তল ১৫টি, শটগান ১৭টি, বন্দুক ১টি ও রাইফেল ১টি।

অবশিষ্ট ১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। সেটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর অস্ত্র। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইসেন্সের বিপরীতে কেনা ১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি। এখন সেসব অবৈধ হয়ে গেছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়