শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থী-বহিরাগত সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যশোর এমএম কলেজ ◈ ছয় বছরের শিশু ও গর্ভবতী নারীও গুমের শিকার হয়: কমিশনের প্রতিবেদন ◈ বাংলাদেশ দখল করতে ভারতের ভয়াবহ পরিকল্পনা! (ভিডিও) ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ, আওয়ামী সমর্থকদের খুশির কারণ কী? ◈ র‍্যাব পরিচয়ে প্রবাসীর ২১ লাখ টাকা লুট, ৭ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ (ভিডিও) ◈ শপথ নিয়েই ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ও বাইডেনের গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাতিল ট্রাম্পের ◈ রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের দেশত্যাগ রোধে কঠোর অবস্থানে সরকার ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ ফের বাড়ল ৬ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ◈ ভারত ম্যাচের আগে ১ মাসের প্রস্তুতি চান বাংলাদেশ কোচ

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৪৬ বিকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লায় ৯২ বছর বয়সে বন্যায় বসতভিটা হারালেন আলী আহমদ

শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : স্মরণকালের নজিরবিহীন বন্যায় পানির স্রোতে ভেঙে পড়েছে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বহু ঘরবাড়ি।
মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘর। সহায় সম্বল সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব অনেকে। এমনই একজন বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন ইন্দ্রবতী গ্রামের আলী আহমদ । 

আলী আহমদ জানান, বন্যার পানি বাড়ার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের গ্রামের স্কুলে আশ্রয় নেই। ২৩ আগষ্ট শুক্রবার ভোর বেলা গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে বসত-ঘর ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে
গেছি।

একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম। বন্যার তার ঘরটা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে ছিল তার সাজানো-গোছানো একটি বাড়ি। আকস্মিক বন্যায় কোনো কিছু নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারেননি। পানি কমে গেলে বাড়ি ফিরে শুধু ধ্বংসস্তূপ দেখতে পান। ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর দুশ্চিন্তা এখন তার মাথায়।

মহিষমারা হাই স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরা ইন্দ্রবতী গ্রামের আঁখি আক্তার বলেন, হঠাৎ করে যখন বন্যার পানি বাড়তে শুরু করে, পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নিয়া আসতে পারি নাই। পানি কমার খবর পাইয়া আসছি, এখন দেখি কিছুই আর নাই। পানি সব নিয়া গেছে। কেবল আমরাই বাঁইচা আসছি। একেবারে নিঃস্ব হইয়া গেছি। ঘর, জিনিসপত্র সব ভাসাইয়া নিছে পানি। ঘরে যা ছিল তা
পানিতে পইচা গেছে। পানিতো কমছে, কিন্তু আমার যে ক্ষতি অইল, তা তো কোনোভাবে পুষাইবো না। শাশুড়ি সন্তান নিয়ে এখন অন্যের বাড়িতে থাকি । জামাইর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কোন আয় রোজগার নেই। চিড়া মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছি। চাল ডাল তেল পেঁয়াজ দিলে সন্তানদের নিয়ে ডালভাত খেতে পারতাম।

বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল ও রাজাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রান্তিক মানুষেরা। কারও ঘরের পুরোটাই ধ্বংস হয়েছে। কারো ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়েছে। কারো ঘরের জিনিসপত্র হারিয়ে ভেসে গেছে বানে তোড়ে। বিধ্বস্ত ঘর মেরামত নিয়ে দরিদ্র এসব মানুষ পড়েছেন বিপাকে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এখন তাদেরকে খাদ্য সহায়তা চলমান আছে। সরকারি সহায়তা পেলে পুনর্বাসনে সহায়তার কথা জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোর্শেদ মুরাদ। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে শীঘ্রই কাজ শুরু করব ।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, আপাতত বন্যা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসন ঠিক করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়