শিরোনাম
◈ কার্ডিফ সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা ◈ জার্মান লিগে স্টুটগার্টকে ৩-১ গোলে হারালো বায়ার্ন মিউনিখ  ◈ সাকিব এশিয়ান স্টারসের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে  খেলবেন  ◈ নেইমার রিয়াল মাদ্রিদের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন ◈ নতুন দল এনসিপি নাহিদ ইসলামকেই কেন নেতা হিসেবে বেছে নিলো ◈ বিশ্বমিডিয়ায় গুরুত্ব পেয়েছে এনসিপির আত্মপ্রকাশের খবর ◈ (১ মার্চ) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ ঢাকার বাতাস আজ ‘দুর্যোগপূর্ণ’, সতর্ক থাকার পরামর্শ ◈ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশি যুবক নিহত ◈ ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ, স্বাগত জানিয়ে যা বললেন বিশিষ্টজনেরা

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৫৩ রাত
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বহুতল বাড়িগুলো যেন আশ্রয়কেন্দ্র, মালিকরাই করছেন খাবারের ব্যবস্থা !

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। প্রশাসন ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২৫ হাজার মানুষ উঠলেও অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার বহুতল বাড়িতে। চারদিন ধরে সেসব বাড়িতে চলছে থাকা- খাওয়ার আয়োজন। বাড়ির মালিকরাই খাবারের ব্যবস্থা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফেনী নদী তীরবর্তী করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধুম ও ওচমানপুর ইউনিয়নের দোতলা থেকে চারতলা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন শত শত মানুষ। তারা এখনো পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন।

বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী মো. শামসুদ্দিন। তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তিনি বলেন, ধুম ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার আশপাশের প্রায় ২০০ মানুষ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে আমাদের বাড়িতে উঠেছেন। প্রতিবেলায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনো গলাসমান পানি থাকায় কেউ বের হতে পারেননি।

শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমি, আমার বড় ভাই আলী হায়দার টিপুসহ সব ভাই মিলে সবার খাবারের জোগান দিচ্ছি। বাবুর্চি এনে প্রতিবেলায় রান্না করা হচ্ছে। অনেক কষ্টে বাজার থেকে নৌকায় করে খাদ্যসামগ্রী আনা হচ্ছে। কারও কাছ থেকে এক প্যাকেট ত্রাণও আমরা গ্রহণ করিনি। পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সবার থাকা-খাওয়া অব্যাহত থাকবে।’

বারইয়ারহাট পৌর বাজারের আরেক ব্যবসায়ী সৈয়দ আলিম উদ্দিন জানান, তাদের চারতলা বাড়ি, শপিং সেন্টার, স্কুলে বন্যার্ত মানুষের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাড়িটির সদস্য, শপিং সেন্টারের পরিচালক, স্কুলের লোকজন এগুলো তদারকি করছেন।

মেহেদী নগর এলাকার বাসিন্দা ও তরুণ ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মোরশেদ বলেন, ‌‘আমাদের বহুতল বাড়ি ও খালি থাকা ইউনিটগুলোতে দুদিন ধরে প্রায় ৩০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকজনের সহযোগিতায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তবে শুধু শামসুদ্দিন, আলিম, মােরশেদের বাড়ি নয়; এমন অসংখ্য বহুতল বাড়িতে মানুষের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় অনেকের বহুতলবিশিষ্ট বাড়িতে মানুষ আশ্রয় দিয়েছেন। যারা আশ্রয় দিয়েছেন তারা মহৎ কাজ করেছেন। সূত্র : জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়