হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর পৌরসভার মো. মামুন নামের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারীর চাকরি বহাল রাখার জন্য চাঁদা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল হোসেন মিঠু নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে। একই সাথে মামুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় ফরিদপুর জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা জনিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে। মোজাম্মেল হোসেন মিঠু জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বলে জানা যায়।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন মিঠু নামের ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি শেখ, মো. সাগর আহমেদ, তানিয়া সুলতানা প্রমূখ।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ মোজাম্মেল হোসেন মিঠুর বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এরপর একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর পৌরসভার পাঁশে গিয়ে শেষ হয়।
তবে সকল অভিযোগ উদ্দ্যশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠু।
মিঠু বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য নিজ দলের মধ্যের একটা পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করাচ্ছেন। আমি যদি কারো কাছে চাঁদা দাবি করি কিংবা হুমকি দেই তবে সেটা থানা পুলিশ কিংবা প্রশাসনকে জানাতে পারতো। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করানো একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।