শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা চান রাজনীতিবিদরা ◈ ফরিদপুরের প্রতিমা ভাঙচুর করা ব্যক্তি ভারতীয় নন, গোপালগঞ্জের নাগরিক ◈ খাগড়াছড়ি থেকে পুলিশ পরিদর্শক মাজহার গ্রেফতার ◈ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি ◈ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করব: অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, কলকাতায় ইলিশের কেজি ৫ হাজার টাকা ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউ‌ন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা দিলো সরকার ◈ শাহজালালে বিদেশ ফেরত যাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণ, বরখাস্ত ৩ কর্মকর্তা  ◈ অন্তর্বর্তী সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ময়মনসিংহে যুবদল নেতা নিহত 

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৩:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৩:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমছে হাওড়া নদীর পানি, উন্নতি হচ্ছে আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি

এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ফলে আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মনজুর রহমান। 

তিনি জানান, হাওড়া নদীর ৯ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখন বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমতে থাকায় পানি কমে আসছে। কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরও কমবে। ভারতে বিপদ সীমার নিচে পানি নেমে আসায় আমাদের জন্যে সুখবর।

এদিকে, পানি কমে আসলেও বন্যা কবলিত রয়েছে ৫ হাজার মানুষ। অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে স্থাপিত আশ্রায়ণে। উঁচু সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা রয়েছে বাড়িঘরে।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষন শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা সহ ১০টি গ্রাম। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। বন্ধ হয়ে পড়ে বন্দরের বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপার। বুধবার রাতে আবারও প্রবল বৃষ্টিতে হলে কর্ণেল বাজার এলাকার আইড়ল-ইটনা সড়কের হাওড়া নদীর বাধের কয়েকটি অংশ ভেঙে যায়। এতে করে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর, ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের সহ অন্তত ৩৪টির বেশী গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানি জমি, শাকসবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘের।

এদিকে, কসবায় সালদা নদীর পানি বাড়তে থাকায় কসবায় কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আটকে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে। সকালে ওই এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কায়েমপুরসহ আশপাশের এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়