শিরোনাম
◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সোচ্চার বিএনপি, সর্বদলীয় জনমত গঠনে জোর, চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ◈ সিলেটে বাংলা‌দেশ অলআউট ১৯১ রা‌নে, দিন শে‌ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ বিনা উই‌কে‌টে ৬৭ ◈ সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ চায় বিএনপি: চারটি বিষয়ে ব্যতিক্রম প্রস্তাব ◈ যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৫ ◈ রিজার্ভ বেড়ে পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলার ◈ বেড়ে দেড় লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছাল স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ◈ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ল ◈ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা ◈ মুখে কালো কাপড়, আওয়ামী লীগের ব্যানারে রহস্যজনক মিছিল (ভিডিও)  ◈ ‘অত্যাচার করে’ পুলিশ হত্যার জবানবন্দি নেয়া হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ০১:১৮ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি !

অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এ নদীর পানি। সবশেষ ১৯৯৭ সালে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল গোমতীর পানি। এর আগে এটিই ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান।

তিনি বলেছেন, বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার পানি বাড়ার গতি কিছুটা কমে এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে বৃষ্টি এবং সেখানকার ( ভারত) নদীর পানি প্রবাহের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। কারণ গোমতীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ গুলি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

পাউবোর তথ্য অনুসারে গোমতী নদীর ডান পাশে ৬৫ এবং বাম পাশে ৭৬.৩ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ আছে। উভয় তীরের বাসিন্দারা বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় আতঙ্কে  আছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের সদর উপজেলার ভাটপাড়া,আমড়াতলী ও আড়াইওড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় লোকজন  বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন।

আমতলী এলাকার বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলছে। কিন্তু সবার প্রচেষ্টায় যদি বাঁধটা ধরে রাখতে পারি তাহলে শহরের লাখের ওপর মানুষ উপকৃত হবে। আমরা এ অবস্থায় কী করে বাঁধ অরক্ষিত রেখে চলে যেতে পারি?

একই এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, শুকনো মৌসুমে কুমিল্লার রাজনৈতিক দানবরা গোমতীর মাটি গিলতে গিলতে শেষ করে দিয়েছে। সেসব ভূমিস্যুদের কারণে নদীসহ কুমিল্লা শহরও হুমকির মুখে আজ। প্রতিটি রাত আমাদের নির্ঘুম কাটে। বাঁধ পাহারা দিয়ে যাচ্ছি রাত জেগে জেগে। এসবের জন্য ভূমি দস্যুরা দায়ী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, রাতেও আমরা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এসেছি। পানির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা, বিজিবির সদস্যরা কাজ করছে। সূত্র : ঢাকাপোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়