ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাদের কক্ষে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মদের বোতল এবং নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সোহানুর রহমান উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য সমূহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ইবি থানার এস আই মেহেদী হাসান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি রামদা, ৫টি চাপাতি, ৫০টি রড, ২টি হকিস্টিক, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি হ্যান্ড স্টিক, ২০০ গ্রাম পেট্রোল, ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৬টি বুলেট এবং ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড। এছাড়া ২০টি মদের বোতল, ৯টি ইয়াবা স্টিক, প্রায় ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, ২ বোতল ফেন্সিডিল এবং জন্মনিরোধক দ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এত পরিমাণ অস্ত্র পাওয়া যাবে, তা তারা ভাবতে পারেননি। তারা দাবি করেছেন, যারা এই অস্ত্র নিয়ে এসেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে কোনও ধরনের অপরাজনীতি যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
এ বিষয়ে ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাদের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে। প্রথম দফায় উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তীতে তাদের সাথে নিয়ে বাকি কক্ষগুলোতেও অভিযান চালাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে রাজি নই। এর আগে এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনও ইনফরমেশন ছিল না। এ জন্য সেসময় কোনো অভিযান চালানো হয়নি। উদ্ধার অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করছে। এটা শিক্ষার্থীরা ভালো কাজ করছে। পরে প্রশাসনের নির্দেশনা নিয়ে আরো অভিযান চালানো হবে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, দেশীয় অস্ত্র শিক্ষার্থীরা সম্ভবত আর্মিদের কাছে দিয়েছে। মদের ৮ থেকে ১০টি খালি বোতল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।