শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শার্শায় আফিল জুট উইভিং মিলে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা

বেনাপোল (যশোর) : প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় আফিল জুট উইভিং মিলে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় মিলের কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়।  রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফিল জুট উইভিং মিলে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কর্মচারী দিন মজুরের  কাজ করে। তবে এ হামলার ঘটনায় কোন কর্মচারী আহত হয়নি।

আফিল জুট উইভিং মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন,  রোববার সকালে হঠাৎ করে শতাধিক দুর্বৃত্তদের একটি দল মিলগেটে এসে হামলা চালায়। মিল গেটের দরজা বন্ধ থাকায় দুর্বৃত্তরা গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। প্রথমে গেটের পাশের রুমসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। তারপর মালিক আফিলউদ্দীনের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে। মিল ভাঙচুর করায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তার সার্থে আপাতত  মিল বন্ধ রাখা  হয়েছে।

এদিকে সাধারন শ্রমিকেরা জানান,এই মিলের কাজের উপরেই তাদের পরিবার  নির্ভরশীল। এখন কিভাবে সংসার চলবে দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

জানা যায়, ২০০৯ সালে এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতা শেখ আফিল উদ্দিন আফিল জুট উইভিং নামে এই মিল প্রতিষ্ঠা করেন শার্শায়। এতে আশপাশ এলাকার বেকার অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে আত্ম গোঁপনে আছেন সাবেক এই সংসদ শেখ আফিল উদ্দীন।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান জানান, অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জুট মিল এলাকা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। কারা ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মালিক পক্ষের কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে তাদেরকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, ০৫ আগস্টের পর এলাকায় যে সব হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে এরা বেশির ভাগ সুবিধাবাদী লোকজন। আগে এরাই আ,লীগে যোগ দিয়ে বিরোধী দলের উপর হামলা করতো,  আর এখন আ,লীগ নেতা,কর্মীদের প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে অন্য দলে  ঢুকতে চাচ্ছে। এরা চিহ্নিত সন্ত্রাস গুষ্টি হলেও জেনে শুনে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি আর দর্বৃত্তয়ায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতারা এদের  দলে যুক্ত করে সব সময় ব্যবহার করে আসছে।।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়