সোহাইবুল ইসলাম, কুমিল্লা: [২] কোটা আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত বেওয়ারিশ মরদেহটি ছিল কুমিল্লার ছেলে ফয়সালের। আন্দোলনের পর থেকে তাকে না পেয়ে তার পরিবার সব জায়গায় খবর নেওয়া শুরু করে। দীর্ঘ ১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পরে অবশেষে তারা জানতে পারলো যে ফয়সাল গুলিতে নিহত হয়েছে। এমনকি তার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
[৩] নিহত যুবক কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর সরকার বাড়ির কৃষক মো. রাজা মিয়ার বড় ছেলে।
[৪] জানা যায়, পরিবারের উপার্জনের স্বার্থে ঢাকায় চাকরি করতেন ফয়সাল। গত ১৯ জুলাই দুপুরে পুলিশ ও কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ফয়সাল। পরে সেখান থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
[৫] ১৯ জুলাই দুপুর থেকে ফয়সালের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় পরিবার কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি ছেলের সঙ্গে। তাই শেষবারের মতো ছেলেকে দেখা হলো না পরিবারের। গত তিন দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফয়সালের নিখোঁজের ছবি প্রকাশ করলে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। তখন ঢামেক সূত্রে জানতে পারা যায় যে ফয়সালের মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
[৬] কুমিল্লার দেবিদ্বারের ইউএনও নিগার সুলতানা বলেন, কারা কারা মারা গেছে সে তালিকা এই মুহূর্তে আমার হাতে নেই। তাই এ বিষয়ে সঠিকভাবে বলতে পারব না। যদি পরিবার সাহায্য চায়, তাহলে আমরা তাকে সাহায্য করবো। এর আগেও একজনকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমরা সাহায্য করেছি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :