অনুজ দেব, চট্টগ্রাম: [২] বুধবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে চলা ভারি বর্ষণে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর প্রধান কয়েকটি সড়ক ছাড়াও বেশিরভাগ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বুধবার সারাদিনে মাধেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। রাত ৯টার পর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে। এরপর রাত ১১টার পর চলে অব্যাহত ভারি বর্ষণ।
[৩] চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহ্রাওয়া অফিস।
[৪] জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নগরীর নিচু এলাকার অধিকাংশ সড়কে হাঁটুসমান বা কোনো সড়কে আরও বেশি পানি জমে যায়। সকালে নগরীর বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, চাক্তাই, হালিশহর, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ, ষোলশহর, চান্দগাঁও, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বাসা বাড়ি, মার্কেট ও বিভিন্ন দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যানবাহনের সংকটের কারণে নানা কাজে ঘর থেকে বের হওয়া হাজারও মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় রয়েছে স্বস্তি।
[৫] পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান আমাদেরসময়ডটকে বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আরও দুয়েকদিন এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রামে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
[৬] পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
[৭] প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কোনোটির কাজ সাত বছর আবার কোনোটি দশ বছর ধরে চললেও এপর্যন্ত জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি নগরবাসীর। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :