আসাদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: [২] শিবগঞ্জ উপজেলার কুমিরাদহ বিলে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যের সহযোগীদের সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাটসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর বিচার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কুমিরাদহ বিলের মৎস্যচাষি আলফাজ উদ্দীন। বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মনকষা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবারের ব্যানারে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলফাজ উদ্দীন অভিযোগ করেন, শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের চৌধুরী ইসমাইল সাজ্জাদ জোয়াদ ওয়াকফ এস্টেটের মতুয়াল্লী কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর সঙ্গে ২০১২ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে কুমিরাদহ বিলে শেয়ারদার হিসেবে মাছ চাষ করে আসছি। এরমধ্যে ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন বছরের আলাদা লিজ মুলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি এবং ভোগ দখলে রেখেছি। কিন্তু এরই মাঝে এস্টেটের মোতুয়াল্লী কাইয়ুম রেজা চৌধুরী তার মেয়ে জারা জাবীন মাহবুব এমপি ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমার ও অন্যান্য মৎস্যজীবিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে।
[৪] সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য জারা জাবীন মাহবুব তার স্থানীয় তিন সহযোগীকে দিয়ে প্রতি বছর ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আলফাজসহ অন্যান্য মৎসজীবিদের আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আমরা কারাগারে থাকার সময় গত ১৪ জুলাই সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুব সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিল দখলের চেষ্টা করে সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে এবং বাথান ঘর থেকে মাছের খাবার ও মালামাল লুট করে নেয়। শুধু তাই নয়, গত ১৬ জুলাই মৎস্যজীবিদের গুদামঘর মালামাল লুট করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী ফাতেমা শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
[৫] সাংবাদিক সম্মেলনে আরোও অভিযোগ করা হয়, ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবারের বিনিয়োগ করা আড়াই কোটি টাকা হারানোর আশংকা রয়েছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনার পর আইনের আশ্রয় নিলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি সহযোগিতাও করেনি।
[৬] এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ কুমিরাদহ বিল আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আলফাজ ছিলেন ওই বিলের ম্যানেজার। তার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়। গত ১৪ জুলাই কুমিরাদল বিলের পাশে আমার উদ্যোগে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচির আওতায করা একটি রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখি বিলে আলফাজ উদ্দীনের সাইনবোর্ড। তা দেখে আমি শুধু একটি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলি। এরপর আমরা চলে আসার সময় তারাই আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে’। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :