জুনাত আরমান, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম): [২] চট্টগ্রামে কর্ণফুলীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] বুধবার ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
[৪] এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই কর্ণফুলীর শাহ শাহ আমানত সেতুর উপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য তারা বিক্ষোভ করেন। ঠিক ওই সময়ে মামলার আসামিরা গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তায় যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন নাশকতা করেন। ওই সময়ে ইটের টুকরো ও ১০টি গাছের লাঠি, ১৩টি গাড়ির গ্লাসের ভাঙা টুকরা, ৫টি লোহার রড ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
[৫] ঘটনায় গত ২৯ জুলাই কর্ণফুলী থানার এসআই সেকান্তর মিয়া বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৮০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
[৬] এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- জসিম উদ্দিন ৪২, আবুল কালাম (৩৮), সাদ্দাম হোসেন (২৬), সাখাওয়াত হোসেন মিশু (২৭), মো. আতাউল্লাহ (৩০), জসিম উদ্দিন জুয়েল (৩৭), আকিব জাবেদ (৩০), হাসমত আলী (৩৩), ইলিয়াস মেম্বার (৩৮), কামরুদ্দিন সবুজ (৩২), মাঈন উদ্দিন মনির (৩৮), ওয়াসিম (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), আংকুর মেম্বার (৪০), আবদুল কাদের (৩৫), আবদুল আউয়াল হাসান (২৪), ইলিয়াস (৩৫) এবং ইব্রাহিম (৩৫)। তারা সকলেই কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ও বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।
[৭] কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৩জন এবং অজ্ঞাত ২জনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :