শিরোনাম
◈ মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অনলাইনেই সংগঠিত হতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ ◈ রাশিয়ায় কাজের প্রলোভনে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের (ভিডিও) ◈ মেঘনা নদীর নৌ সীমানায় ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন দিনগুলোয় চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে ◈ আবারও বাড়লো ডলারের দাম ◈ বাংলাদেশসহ তিন দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড ◈ ওসিকে পেটানোর হুমকি, সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার ◈ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনটি? জেনে নিন এমন ১০টি দেশ সম্পর্কে ◈ দেখা গেছে শাবান মাসের চাঁদ, আরব আমিরাতে রোজা হবে ৩০টি ◈ ‘যে ৪ শর্তে ফিরতে পারবে আ.লীগ’

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে হাওরের পোনা ও ডিমওয়ালা মাছে বাজার সয়লাব 

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: [২] কিশোরগঞ্জের হাওরে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছে সয়লাব বাজার। প্রতিদিনই বাজারে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ। হালকা ও মিহি বুননের চায়না দুয়ারী জাল মূলত মাছ ধরার এক ধরনের ফাঁদ। হাওরগুলোতে এই জালের ব্যবহার বেড়েছে। আর এতে আশঙ্কাজনক হারে নষ্ট হচ্ছে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ।

[৩] মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই জালের ব্যবহার চলতে থাকলে হাওরে মাছের সংকট দেখা দেবে। আর মৎস্য অধিদপ্তর বলছে এ বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে, এসব জাল ধ্বংস করা হচ্ছে।

[৪] করিমগঞ্জের বালিখলা মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাকডাকা ভোর থেকে এ বাজারে ছোট-বড়, দেশি সব মাছ নিয়ে ভিড় করেছেন জেলে ও আড়ৎদাররা। তবে বাজারে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। কারেন্ট ও চায়না দুয়ারী জালে আটকা পড়ে এ বাজারে শুধু বোয়াল মাছের পোনাসহ বিভিন্ন মাছের পোনার সংখ্যাই বেশি।

[৫] স্থানীয়রা বলছেন, কিশোরগঞ্জের হাওরে চায়না দুয়ারী জালের ব্যবহারের কারণে পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ একেবারে ধ্বংসের মুখে। তাই এ জাল বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি মাছ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের।

[৬] জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জে বছরে ৭০ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন মাছের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ৮৩ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন। যা সারাদেশে বিভিন্ন এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

[৭] হাওরে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে কিছু খারাপ মানুষ কারেন্ট ও চায়না দুয়ারী জাল নিয়ে হামলে পড়ে। তারা ছোট ছোট মাছ ও ডিমওয়ালা মাছগুলো ধরে ফেলে, এতে করে হাওরের মাছ কমে যাচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ জেলেরাও এতে বিপাকে পড়েছে বলেন নিমাই।

[৮] বালিখলা মাছ বাজারের সভাপতি হাদী হারিস বলেন, মাছের ডিম পাড়ার সময় হাওরে ১৫-২০ দিন মাছ ধরা বন্ধ করা গেলে মাছের উৎপাদন বাড়বে। আমি এই ছোট মাছ বিক্রির বিপক্ষে। একবার বাজারে নিয়ম চালু করেছিলাম বালিখলা মাছ বাজারে পোনা মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ। সবার সঙ্গে আমি একা পেরে উঠতে পারিনি। প্রশাসন যদি হাওরের আশপাশের বাজারগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করে তাহলেই এটা বন্ধ করা সম্ভব।

[৯] কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে ধরা এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ যেন না ধরে সে বিষয়ে জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়