শিরোনাম
◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন  ◈ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নতুন বিনিয়োগ খুঁচছে সরকার  ◈ ঢাকায় ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ◈ ইজিবাইকসহ অপহরণকৃত চালককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ◈ হামজা চৌধুরী‌কে দেখে সামিত শোম বললেন, আমি বাংলা‌দে‌শের হ‌য়ে খেল‌তে আগ্রহী, পাসপোর্ট করছি ◈ রোববার প্রথম টে‌স্টে বাংলা‌দেশ ও জিম্বাবু‌য়ে মু‌খোমু‌খি, না‌হিদ রানা‌কে ভয় পা‌চ্ছে সফরকারীরা  ◈ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লি‌গে খেল‌বেন সাব্বির রহমান, রওনা হ‌বেন ২ মে ◈ ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়’ ডুবছে তাদেরই অর্থনীতি! ঢাকাকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ট্রাম্প-শি জিনপিং-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৯ দুপুর
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জোয়ারের পানিতে ডুবেছে লক্ষ্মীপুরের মেঘনার উপকূল

জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে ডুবেছে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা। গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে জোয়ারের পানি উপকূলে ডুকতে শুরু করে। এতে জেলার রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি, নীচু ঘরের ভিটি তলিয়ে যায়। রাত ৮টার পর পানি নামতে শুরু করে। 

[৩] বুধবার ছাড়া সোমবার (২২ জুলাই) এবং মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) একইভাবে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

[৪] স্থানীয়রা জানায়, টানা তিনদিন উপকূল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ এবং ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তারা। ক্ষেতের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। হাঁস-মুরগি এবং গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গৃহস্থালির রান্নার কাজেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, মেঘনা নদীর নির্মাণাধীণ তীররক্ষা বাঁধ সময়মতো নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছর জোয়ারের পানিতে ডুবতে হচ্ছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হলে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পড়ে পেত উপকূলের বাসিন্দারা।

[৫] কমলনগরের চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ জালাল আহমেদ বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। যাদের ঘরের ভিটি নীচু, তাদের ঘরে পানি ঢুকেছে। এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।

[৬] তিনি জানান, এলাকার অনেকেই ক্ষেতে আমনের বীজতলা তৈরি করেছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

[৭] আবদুজ জাহের বলেন, রাস্তা-ঘাট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।

[৮] উপকূলের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, দিনে এবং রাতে মিলিয়ে প্রতিদিন দুই বার জোয়ার উঠে। রাতের বেলা জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। খাঁচার ভেতরে থাকা অনেকে মুরগি পানিতে ডুবে মারা যায়।

[৯] চরমার্টিন কালভার্ট এলাকার গৃহবধূ মরিয়ম বলেন, জোয়ারের সময় খাটের উপর বসে থাকি। চুলোয় পানি ঢুকে পড়েছে। রান্নার কাজ করা যায় না। শিশু সন্তানসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বিপাকে পড়ছি।

[১০] স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, জোয়ারের তোড়ে গ্রামীন রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছরের আগষ্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ বছর অসময়ে (আগাম) জোয়ারের পানিতে উপকূল প্লাবিত হয়েছে।

[১১] মো. ইউসুফ নামে একজন বলেন, নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে জোয়ারের পানি বাড়লে উপকূল তলিয়ে যায়। এতে আমাদের ফসলসহ বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার দাবি জানাই।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়