শাক সবজি ও মাছ উৎপাদন-বিপণনে দেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা রাজশাহী। উৎপাদিত পণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে দেশের চলমান কারফিউ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত যোগান থাকায় কমছে সবজির দাম। পাশাপাশি জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ রাখায় বাড়ছে মাছের দাম। সূত্র : সময়টিভি
রাজশাহীর অন্যতম সবজির হাট খড়খড়ি বাইপাস বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও এই মরিচের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। দেশের চলমান কারফিউ পরিস্থিতির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ও বাজারে বাইরের ক্রেতা না থাকায় দাম কমেছে বেগুন, আলু ও পটলসহ অন্যান্য শাক-সবজিরও।
বিক্রেতারা বলছেন, এখানকার উৎপাদিত বেশিরভাগ সবজি যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কয়েকদিন ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। পাইকারি ক্রেতাদের অভাবে অবিক্রিত থেকে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিক্রেতাদের দাবি, যে বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, চলমান সংকটে সেটা ২০-২৫ টাকায় নেমে গেছে। কারফিউতে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। ফলে এখানে উৎপাদিত কোনো সবজি জেলার বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। এতে তরকারি দাম পড়ে গেছে। আর ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মাছের বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সরবরাহ কমায় দাম চড়া। সব ধরনের মাছে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যাংক বন্ধ থাকায় আড়ৎদাররা মাছ চাষিদের টাকা দিতে পারছেন না। এতে করে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছেন বহু জেলে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। কারণ এ অঞ্চল থেকে ঢাকাসহ অন্তত ১৮টি জেলায় তাজা মাছ যায়। চলমান সংকটে যান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় জেলেরা ও মাছ চাষিরা মাছ ধরতে পারছে না। বাজারজাত করার মতো মাছগুলো খামারে রেখে প্রতিদিন খাবার দিতে হচ্ছে, ফলে লোকসান বেড়ে যাচ্ছে। সবজি ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতিও তাই।
চলমান সংকটে রাজশাহীতে শুধুমাত্র কৃষি খাত থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
আপনার মতামত লিখুন :