এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজনসহ আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন।
[৩] চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] আহতরা হলেন- আরেফিন শুভ, মোহাম্মদ মোরশেদ, সাইদ, শুভ, হিমাদ্রী, মোহাম্মদ মাহিন, মিনহাজুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, আদনান শরীফ, রাকিব শাহরিয়ার এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী। তাদের মধ্যে হোসেন সোহরাওয়ার্দী ব্যবসায়ী, মোরশেদ রিকশাচালক, হিমাদ্রী ও মোহাম্মদ ইলিয়াছ পথচারী, আদনান শরীফ ডেলিভারি ম্যান বলে জানা গেছে। বাকিরা সবাই শিক্ষার্থী।
[৫] বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নতুন ব্রিজ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের নিক্ষেপ করা টিয়ারশেল এবং লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
[৬] প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর সমর্থনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। এতে সড়ক থেকে সরে না গেলে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
[৭] এদিকে, চট্টগ্রামে সকাল থেকে সড়কে কমেছে যানবাহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কমে গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে না দূরপাল্লার বাস। নগরীতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সড়কে লোকজনের আনাগোনাও অনেক কম।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :