স্বপ্না আক্তার, নীলফামারী: [২] সদরের রামগঞ্জ বাজার থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত চার জন আসামী গ্রেফতারে প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকবুল হোসেন।
[৩] সোমবার (১৫ জুলাই/২৪) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি বলেন, গত ০৮ জুলাই সদরের রামগঞ্জ বাজার থেকে চার্জার ভ্যান চালক আব্দুস সামাদ ওরফে আব্দুল্লাহকে (৬০) অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার কথা বলে ডোমারের ধরনীগঞ্জের উদ্দ্যেশে রওনা দেয় চক্রের সদস্য বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুর ইসলাম (২৫)। পথিমধ্যে জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে কলমদার ব্রীজের পার্শে শ্মশান ঘরে রেখে ভ্যান নিয়ে যায়।
[৪] ওইদিনই দুপুর আনুমানিক ৩ টার সময় ভ্যানচালকের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সেখানেই ভ্যানচালক মৃত্যুবরণ করেন।
[৫] তিনি বলেন, সদর থানায় অভিযোগের ৭২ ঘন্টার মধ্যে জেলা পুলিশের চারটি চৌকস টিমও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত চক্রের দুই আসামী সদর উপজেলার রামনগড় বিষমুড়ি এলাকার মৃত আকিবার রহমানের ছেলে বাবু মিয়া (৩০) এবং সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর কুখাপাড়া এলাকার মোঃ হোসেন আলীর ছেলে মফিজুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
[৬] তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই মালামাল হেফাজতকারী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সিট আলোকদিহি এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৮) এবং একই জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর (পলাশবাড়ী) এলাকার মোঃ ফারুক হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসাথে চোরাইকৃত ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়।
[৭] এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীলফামারী সদর ও জলঢাকা সার্কেল (পিপিএম সেবা) মোঃ মোস্তফা মঞ্জুর, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তানভীরুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :