ইফতেখার আলম, রাজশাহী: [২] নগরীর সুলতানাবাদ এলাকায় একতলার একটি টিনসেড বাড়ি ড্রেনের ওপর ধসে পড়েছে। সিটি করপোরেশনের ড্রেনের ওয়ালের ওপর অবৈধভাবে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত চাপের কারণে বাড়িটি ধসে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
[৩] বাড়িটি ধসে পড়ার ঘটনায় পার্শ্ববর্তী বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝুকির মধ্যে রয়েছে অনেক পরিবার।
[৪] শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বোয়ালিয়া থানাধীন সুলতানাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী রেশম কারখানার বাউন্ডারি ওয়াল ঘেঁষে সিটি কর্পোরেশনের ৮ ফিট প্রস্থ একটি ড্রেনের ওপর পড়ে আছে একটি টিনসেড পাকা বাড়ি। এর ফলে পানির প্রবাহ অনেকটা বন্ধ রয়েছে। ওই বাড়ির মালিকের নাম শাবেরা খাতুন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছোট বোন বিথি আক্তার দেখাশোনা ও ভাড়া তোলার কাজ করতেন। প্রায় একবছর পূর্বে বাড়িটিতে ফাটল দেখা দিলে ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। বাড়িটি সংস্কার বা অপসারণ না করে এভাবে ফেলে রাখেন বিথি আক্তার। বসবাসের ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোন ভাড়াটিয়া বাড়িটি ভাড়া নিতে চাইতেন না। স্থানীয়রাও বিথি আক্তারকে বার বার সতর্ক করলেও এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করতেন না তিনি।
[৫] প্রতিবেশী মো: সাজাহান আলী বলেন, দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ড্রেনের ওপর থেকে পরিত্যক্ত বাড়িটি অপসারণ করছেন না তারা। এর ফলে পানির প্রবাহ অনেকটা বন্ধ রয়েছে। দ্রুত অপসারণ করা না হলে আমাদের বসতবাড়িসহ শহরের নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে তলিয়ে যেতে পারে বাড়ি-ঘর। এতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হবে জনসাধারণের।
[৬] এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের ছোট বোন দুর্গাপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারি বিথি আক্তার বলেন, বাড়িটি আমার বোন নির্মাণ করেছে। এছাড়া আমাদের জমির ওপর দিয়ে সিটি করপোরেশন ড্রেন যাওয়ার ফলে বাড়িটি এভাবে নির্মাণ করা হয়। ড্রেনের ওপর পরিত্যক্ত বাড়িটি অপসারণের বিষয়ে বিথি আক্তার বলেন, আমি সামান্য বেতনে চাকরি করি। দুটি সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করতে হয় আমাদের। তবুও মিস্ত্রি ও লেবারদের সাথে আমার কথা হয়েছে। অতিদ্রুত ড্রেন থেকে তা অপসারণ করা হবে।
[৭] রাসিকের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: রবিউল সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :