সনত চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর: [২] সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেটের কারনে নিম্নমানের আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। বর্তমানে সময়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সপ্তাহের কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে। এবার বাজারে দাম বেড়েছে চিনি, ডাল, আটা ও ভোজ্যতেলের।
[৩] রবিবার (১৪ জুলাই) ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে যত দিন যাচ্ছে বাজারে ততই দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ছে। দাম না কমায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি এবং বন্যা কমলে সব সবজির দামই নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ক্রেতা- বিক্রেতারা।
[৪] সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার পরির্দশন করে জানা গেছে, বাজারে কাঁচা মরিচ ও আদার ঝাঁজ বেশি। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি খুচরা মূল্য ২৪০ -৩০০ টাকা ও আদা ৩০০ টাকা কেজি। যদিও পাইকারি বাজারে কাঁচার মরিচ প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
[৫] এদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি, পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা পর্যন্ত, চাষের কৈ মাছ প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি পুঁটি মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৫০০ টাকা,তেলাপিয়া মাছে প্রতি কেজি ১৮০ ২০০ টাকা, চাষের রুই প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, দেশি শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা, সিলভার মাছ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা, দেশি পাবদা মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১০০০ -১৫০০ টাকা, প্রতি কেজি কাতলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সাদা ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, কক মুরগি ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। এছাড়া দেশী মশুরের ডাল ১৪০ টাকা, বিদেশি ১১০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, ডিম ৫৫ টাকা হালি, সয়াবিন তৈল প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ১৬৫ টাকা ও খোলা তৈল ১৫০ টাকা কেজি, মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা ও চিকন চাল ৫০ টাকা কেজি।
[৬] কাঁচাবাজারে পেয়াঁজ খুচরা ৯০ টাকা কেজি, অথচ পাইকারি বাজারে ৭০ টাকা কেজি, কচুর লতি খুচরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাইকারি ৩৫-৪০ টাকা কেজি। রসুন ২২০টাকা, টমেটো ও কচুর মুখি ৮০ টাকা, গোল আলু ৬০ টাকা, আলু ৫০-৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কাঁচাবাজারে স্বস্তি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি ও বিভিন্ন শাকের আটির দাম ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা। লবণের প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ৪০ টাকা ও খোলা লবণ ২০ টাকা কেজি রয়েছে।
[৭] বাজার দরের ব্যাপারে অনেকে মনে করেন, বর্তমানে ব্যবসা চলে গেছে সিন্ডিকেটধারীদের হাতে। তারা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কখন দাম বাড়ানো যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা, অতিবৃষ্টি,অনাবৃষ্টির কারণে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করছে। তারা মনে করে সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :