হাবিবুর রহমান, কক্সবাজার: [২] নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে স্মার্ট ফ্যামেলি কার্ড বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যেটি আগে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড নামে পরিচিত ছিল।
[৩] ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলার ৭১ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার মাধ্যমে চলছে সুবিধাভোগীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া। জেলার ৩১ জন সরকার নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে উক্ত নিত্যপণ্য বিক্রি করে থাকে সরকার।
[৪] জেলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন জানান, জেলাব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে টিসিবির উপকারভোগীদের অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার ঘোষিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অনেক উপকারভোগি নিবন্ধন না করায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। পূর্বে যারা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির মালামাল গ্রহণ করেছেন তাদেরকে জরুরী কাগজপত্র দিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
[৫] তিনি আরও জানান, অনলাইন আবেদন করতে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, রেজিষ্ট্রেশন করা মোবাইল ১টি সচল মোবাইল নাম্বার, বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি, অবিবাহিত ক্ষেত্রে পিতা বা মাতার এনআইডি, বিধাবা/তালাকপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন দিয়ে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। যাদের নিবন্ধন শেষ হয়েছে তাদের স্মার্ট ফ্যামেলি কার্ড প্রদান করা হবে। সেই কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প দামে টিসিবির মালামাল ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা।
[৬] প্রতি মাসে স্বপ্ল আয়ের নির্দিষ্ট কার্ডধারী পরিবার ৬০ টাকায় ১ কেজি চিনি, ৬০ টাকায় ১ কেজি ডাল, ১১০ টাকায় ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল কিনতে পারবে। এ কর্মসূচিতে জেলার ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৭ পরিবার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান ডিলাররা।
[৭] কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, টিসিবি'র পন্য পুরো জেলায় সমভাবে বিতরন করা হবে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :