শিরোনাম
◈ জুলাই বিপ্লবের ১শ' দিন পরও আহতদের চিকিৎসার রোডম্যাপ দিতে পারেনি : উমামা ফাতেমা(ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্র, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু ◈ এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সামনে দুটি পথ : ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন ◈ পুকুর থেকে মাছ চুরি করে কোটিপতি! ◈ কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না সেন্ট মার্টিনে: রিজওয়ানা হাসান ◈ দেশে চালু করা হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজে, অনিশ্চয়তায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ◈ মহিষের বীর্য বিক্রি করে মাসে আয় ৭ লাখ টাকা! ◈ আজিমপুরে দিনেদুপুরে ডাকাতি করতে ঢুকে মালামালের সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৯ বিকাল
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনোয়ারায় লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে বেশির ভাগ ফার্মেসী, দেখার কেউ নাই

এস এম সালাহউদ্দীন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): [২] চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাট-বাজারে, অলি গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেশিরভাগ ওষুধের ফার্মেসির নাই ড্রাগ লাইসেন্স। এসমস্ত ফার্মেসিতে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র এবং প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট ব্যতীত জীবনরক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকও বিক্রি করা হচ্ছে অবাধে। ফলে জনগণ রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। 

[৩] বিশেষ করে অভাবী ও নিম্নবিত্ত লোকজনকে বেশিরভাগ ওষুধ দোকানি নিজেরাই ডাক্তারের মতো অহরহ চিকিৎসা করছে। সরকারের ওষুধ প্রশাসনের নীতিমালা মোতাবেক বৈধ ফার্মেসির ও প্রত্যেকটিতে ওষুধ বিক্রি করার জন্য প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু এসব দোকানে এ ধরণের নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই। 

[৪] এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত কঠোর মনিটরিং এবং বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব জরুরী বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকগন। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় ড্রাগ লাইসেন্স, কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই গড়ে উঠেছে ওষুধের দোকান। 

[৫] বর্তমান সরকার জনসাধারণের জন্য মানসম্পন্ন ওষুধ পাওয়ার এবং ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যেই ফার্মেসি এবং ওষুধের দোকান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী মডেল ফার্মেসিতে (লেভেল-১) কমপক্ষে একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট থাকবেন, তাকে সাহায্য করবেন বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ফার্মাসিস্ট। আর মডেল মেডিসিন শপে (লেভেল-২) থাকবেন কমপক্ষে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশ কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ফার্মাসিস্ট তাকে সহয়তা করবেন। 

[৬] প্রশিক্ষণ নেই এমন কেউ ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানে ওষুধ বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এমন কঠোর নির্দেশনাও রয়েছে। এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার জন্য ওষুধ প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফিন বলেন, শীঘ্রই অবৈধ ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে ঔষুধ প্রশাসন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়