জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
[৩] কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ নির্দেশে উক্ত সম্পদ গুলো জব্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় দুদক। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জব্দকৃত সম্পদ গুলো টেকনাফ থানার ওসিকে তদারকি কর্মকর্তা (রিসিভার) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
[৪] মনিরুজ্জামান টেকনাফ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আহম্মদের পুত্র।
[৫] শুক্রবার (১২ জুলাই) এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, কক্সবাজার দুদক কার্যালয়ের দায়েরকৃত মামলার বিজ্ঞ আদালত থেকে প্রেরণ করা একটি অনুলিপি পেয়েছি। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
[৬] জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে- টেকনাফ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অবস্থিত ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি, ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের জমি, ১৬ লাখ টাকা মূল্যের জমি, ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের জমি, ২ কোটি ২৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা মূল্যের চারতলা ভবনসহ ১২ শতাংশ জমি, ২১ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের জমিসহ একটি দোকান, ২২ হাজার টাকা মূল্যের জমিসহ দোকান,৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের জমিসহ দোকান,৩৮ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের জমিসহ বসতবাড়ি, ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি ছোট আকারের ভবন।
[৭] কক্সবাজার দুদক কার্যালয় সুত্রে জানা, টেকনাফ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে সর্বমোট ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৩ টাকার আয়বহির্ভূত জ্ঞাত আয়ের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অসংগতিপূর্ণভাবে এই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ২ আগস্ট উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
[৮] এ বিষয়ে দুদকের মামলায় অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, দুদক আমার বিরুদ্ধে মামলা করছে উক্ত মামলা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত আমাকে জামিন দিয়েছে। দুদক আমার সম্পদ জব্দ করেছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন। তবে এবিষয়টি সত্য নয় কারণ দুদকের দায়ের মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি আমার এবং আমার পরিবারের অর্জিত সম্পদ গুলো সম্পূর্ণ বৈধ ব্যবসায় অর্জিত। সেই বিষয়টিও বিজ্ঞ আদালতে প্রমান করা হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :