শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: [২] মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা। দিনব্যাপী বহিঃবিভাগের ভিতরে বাইরে অবস্থান করেন রিপ্রেজেন্টেটিভরা। পরিচালকের নির্দেশে রিপ্রেজেন্টেটিদের ব্যাগ আটক করা হলে তা ছাড়াতে আনসার সদস্যদের সুপারিশ করেন ডাক্তাররা।
[৩] পরিচালক জানিয়েছেন, দুঃখ জনক বিষয়। শনিবার ও বুধবার বেলা ১টার পর তাদের পরিদর্শনের সময় দেওয়া আছে।
[৪] সরেজমিনে গত ৬ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃবিভাগের প্রায় প্রতিটি কক্ষে তিন থেকে পাঁচজন রিপ্রেজেন্টেটিভ অবস্থান করছেন। বেলা সাড়ে দশটায় ১২৩নং কক্ষে চর্ম বিভাগে দেখা যায় তিনজন রিপ্রেজেন্টেটিভ অবস্থান করছেন। তারা মেডিসিনের নাম বলার
পর তা ব্যবস্থাপত্রে লিখেন ডাক্তার। ১২৩ কক্ষে নারী চিকিৎসককে একটি ছাতা দেওয়ার পর তিনি রিপ্রেজেন্টেটিভকে ধন্যবাদ জানান।
[৫] এ সময় রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, স্যার, আজকে সার্ভে আছে, দেখবেন প্লিজ। ডাক্তার বলেন, ওকে। একই চিত্র ছিলো ১২০নং কক্ষে চক্ষু বিভাগেও।
[৬] হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স জানান, রিপ্রেজেন্টেটিভরা বহিঃবিভাগে দাঁড়িয়ে থেকে ঔষধ লিখতে বাধ্য করেন ডাক্তরদের। কারণ তাদের কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ,রশুন, বউয়ের থ্রি পিসসহ সব কোম্পানী থেকে পায়। ডাক্তাররা বিক্রি হয়ে গেছে কোম্পানীর কাছে।
[৭] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার কমান্ডার মোঃ মোসলেম উদ্দিন বলেন, রিপ্রেজেন্টেটিভদের ছাড়াতে ডাক্তাররা সুপারিশ করে। আমরা কী করবো? ডাক্তাররা তাদের থেকে কী না পায়? এ জন্য কিছু করতে পারি না। আমরা অসহায়। পরিচালক স্যার বলেন, ধরো। অন্য ডাক্তাররা বলেন, ছাড়ো। এই ধরো আর ছাড়োর মাঝে পড়ে আমরা মরছি। ৫০ জন রিপ্রেজেন্টেটিভ এর ব্যাগ আটক করেছি। এখানে ডাক্তারদের ধমকে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
[৮] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নিশাত সুলতানা বলেন, ডাক্তাররা সুপারিশ করবে। এটি দুঃখ জনক। আমরা খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
[৯] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমি ডাক্তার ও রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাথে বসব। শনিবার ও বুধবার বেলা ১টার পর চেম্বরে প্রবেশ করা নিয়ম করে দিয়েছি রিপ্রেজেন্টেটিভদের। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :