শিরোনাম
◈ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন র‌্যাবের তৎকালীন সিও (ভিডিও) ◈ সড়ক ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা নিয়ে যা বললেন বুয়েট ভিসি (ভিডিও) ◈ খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ◈ শিগগিরই চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ◈ গ্যাসের দাম বাড়ানোর শুনানিতে হট্টগোল! ◈ যাদের নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ ◈ হামজা চৌধুরীকে নিয়ে বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা  ◈ আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী দল ◈ ‘আমরা প্রস্তুত আছি, আশা করছি ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন করতে পারবো’ ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, পাকিস্তানে ১০০ পুলিশ বরখাস্ত

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৩৭ রাত
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাঁতরে টেকনাফে এলো বিজিপি সদস্য

কায়সার হামিদ, উখিয়া: [২] মিয়ানমারের মংডু শহরে ফেরার সময় নাফ নদের ওপারে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে বিজিপির এক সদস্য সাঁতরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের তীরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে কিছু গোলাবারুদ ছিল। জানা গেছে, বিজিবি সদস্যরা গোলাবারুদসহ তাকে হেফাজতে নিয়েছে।

[৩] শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

[৪] তবে বিজিবির একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ট্রলারটি মংডু শহরের দিকে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেটি ডুবে যায়। সকাল ৭টার দিকে সাঁতার কেটে কিছু সংখ্যক গোলাবরুদ নিয়ে বিজিপির এক সদস্য শাহপরীর দ্বীপের তীরে ওঠে। পরে অস্ত্রসহ বিজিবি তাকে হেফাজতে নেয়।

[৫] তথ্যানুযায়ী, ট্রলারটিতে বিজিপির পাঁচজন সদস্য ছিলেন। অপর চারজনের খবর জানাতে পারেননি তিনি।

[৬] স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমারের বিজিপির ওই সদস্যকে সকাল ৯টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। এ সময় আশপাশে কোনো লোকজনকে ভিড়তে দেয়নি বিজিবি সদস্যরা।

[৭] এদিকে, শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ওপার শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে থেকে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।

[৮] বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া যায়। রাতভর শান্ত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা।

[৯] টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এখনও সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ বন্ধ হয়নি। এজন্য এপারের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো অপরিচিত লোকজন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ রইল।

[১০] টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের ওপারে কখনও শান্ত আবার কখনও থেকে থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাতভর শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়