শিরোনাম
◈ আদালত চত্বরে শাজাহান খান ও সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন কর্মীরা ◈ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার সময় বাড়ল ◈ শুরু হয়েছে আইপিএল নিলাম: প্রথম খেলোয়াড়ের দাম উঠল ১৮ কোটি ◈ নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করলো জাতীয় নাগরিক কমিটি ◈ অন্য কোনো দেশে আশ্রয় না পেলে কী করতে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী? ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম যা বললেন ব্যাটারিচালিত রিকশা ইস্যুতে ◈ সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা এই জাতিকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব: সিইসি ◈ নয়াদিল্লি ও লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ ◈ বান্দরবানের গহিন জঙ্গলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সদস্য নিহত ◈ বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক সংস্থা নিয়োগের সুপারিশ

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই শিশুর মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ: [২] হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুই শিশুর মরদেহ বস্তায় ভরে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৭ মাতব্বরের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

[৩] গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিহত শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বাদি হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

[৪] মামলার আসামিরা হলেন- দীপেশ চন্দ্র সরকার, নিরঞ্জন তালুকদার, দীনমণি সরকার, অসিত দাস, ভীমলাল দাস, নিখিল দাস ও নিরঞ্জন দাস। 

[৫] উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে মারা যায় পাহারপুর (মাহমুদপুর) গ্রামের দুই শিশু প্রলয় দাস (৭) ও সুর্য দাস (৬)। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাহ করা হয়। তবে শিশুদের বেলায় তা দাহ না করে সমাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে। মারা যাওয়ার পরদিন (৩০ জুন) দুপুরে শিশু প্রলয় দাসের মরদেহ শ্মশানে সমাধি দেয় তার পরিবার। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা জানার পর শিশুটির বাবা গোবিন্দ দাসকে ডেকে এনে শ্মশানে মরদেহ না রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে সমাধি দেওয়া মরদেহ তুলে পানিতে ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্তানের মরদেহ শ্মশানে রাখতে বাবার শত অনুরোধ আর পায়ে ধরে কান্নাও মন গলাতে পারেনি মাতব্বরদের। এক পর্যায়ে মাতব্বরদের চাপের মুখে সন্তানের মরদেহ সমাধি থেকে তুলতে বাধ্য হন হতভাগা বাবা। পরে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কালনী-কুশিয়ারা নদীতে। প্রলয়ের এমন পরিণতি দেখে অপর শিশু সূর্য দাসের পরিবারও তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়। 

[৬] শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি তার ছেলের মরদেহ শশ্মানে রাখতে পঞ্চায়েত কমিটির পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু নেতারা মরদেহ নিজেরাই তোলে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিলে বাধ্য হয়ে তিনি মরদেহ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেন।

[৭] এর আগে, বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ৩ জুলাই আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতের বিচারক সোহেল ভূঁইয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়