শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের থামাতে সংঘর্ষস্থলে এসে তোপের মুখে হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ ঢাকা অচল করতে অবরোধের ঘোষণা ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল ◈ যে কারণে মধ্যরাত থেকে সারা দেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল! ◈ ট্রাম্পের নীতির ধাক্কা কতটা বাংলাদেশে? ◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যা বললেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ◈ মধ্যরাতে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে নীলক্ষেতে ইডেন কলেজের ছাত্রীরা (ভিডিও) ◈ সাত কলেজের ঘটনা ‘দুঃখজনক’, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রো ভিসি ড. মামুনের ◈ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ, শিবির সভাপতির বক্তব্য ◈ সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই শিশুর মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ: [২] হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুই শিশুর মরদেহ বস্তায় ভরে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৭ মাতব্বরের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

[৩] গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিহত শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বাদি হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

[৪] মামলার আসামিরা হলেন- দীপেশ চন্দ্র সরকার, নিরঞ্জন তালুকদার, দীনমণি সরকার, অসিত দাস, ভীমলাল দাস, নিখিল দাস ও নিরঞ্জন দাস। 

[৫] উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে মারা যায় পাহারপুর (মাহমুদপুর) গ্রামের দুই শিশু প্রলয় দাস (৭) ও সুর্য দাস (৬)। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাহ করা হয়। তবে শিশুদের বেলায় তা দাহ না করে সমাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে। মারা যাওয়ার পরদিন (৩০ জুন) দুপুরে শিশু প্রলয় দাসের মরদেহ শ্মশানে সমাধি দেয় তার পরিবার। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা জানার পর শিশুটির বাবা গোবিন্দ দাসকে ডেকে এনে শ্মশানে মরদেহ না রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে সমাধি দেওয়া মরদেহ তুলে পানিতে ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্তানের মরদেহ শ্মশানে রাখতে বাবার শত অনুরোধ আর পায়ে ধরে কান্নাও মন গলাতে পারেনি মাতব্বরদের। এক পর্যায়ে মাতব্বরদের চাপের মুখে সন্তানের মরদেহ সমাধি থেকে তুলতে বাধ্য হন হতভাগা বাবা। পরে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কালনী-কুশিয়ারা নদীতে। প্রলয়ের এমন পরিণতি দেখে অপর শিশু সূর্য দাসের পরিবারও তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়। 

[৬] শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি তার ছেলের মরদেহ শশ্মানে রাখতে পঞ্চায়েত কমিটির পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু নেতারা মরদেহ নিজেরাই তোলে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিলে বাধ্য হয়ে তিনি মরদেহ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেন।

[৭] এর আগে, বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ৩ জুলাই আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতের বিচারক সোহেল ভূঁইয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়