এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রাম- সিলেট উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
[৩] চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শহীদুল ইসলাম বলেন, উদয়ন ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। মামলা সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
[৪] ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনাকারি এসএ কর্পোরেশনের ব্যপারে কোন তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণ সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনি এসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ধর্ষণের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ অনেকের কাছেই পৌছে গেছে, এই বিষয়ে কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত ধর্ষণ করা একটি অপরাধ, আবার যারা ভিডিও ধারণ করেছে তারাও একটা অপরাধ করেছে। এটা একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক কাজ। বাদি বা পক্ষের কেউ চাইলে এই ভিডিও নিয়ে সাইবার আইনে মামলা করতে পারবে।
[৫] আমাদের কাছে কেউ আসলেও আমরা সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এর আগে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত শুনানি শেষে সোমবার (১ জুলাই) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৬] উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী এসএ করপোরেশনের চার কর্মী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী তরুণী চার জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত এসএ করপোরেশনের চার কর্মীকেই গ্রেপ্তার করে।
[৭] গ্রেপ্তার এসএ করপোরেশনের চার কর্মী হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন ভাদেশ্বরা এলাকার বাছির মিয়ার ছেলে জামাল (২৯), জামালপুরের ইসলামপুরের কুলকান্দি মধ্যপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রাশেদুল হক (২৮), জামালপুরের সরিষাবাড়ির কুমারপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে শরিফ মিয়া (২১) এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুরের গোলাম নবীর ছেলে আব্দুর রব রাসেল (২৮)। সম্পাদনা: এআর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :