নাজমুল হক, রাজশাহী: [২] রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব আলম তার দপ্তরে বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে খাম আদান- প্রদানের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ওসি তার দপ্তরে নিজের চেয়ারে বসে রয়েছেন এমন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
[৩] ওসি সামনে থাকা এক ব্যক্তি একটি খাম চান। এসময় ওসি তার ড্রয়ার থেকে খাম বের করে দেন। ওই ব্যক্তি সেই খামটি আবার এগিয়ে (ফেরত) দিলে ওসি সেই খাম তার ড্রায়ারে পুরে নেন।
[৪] এসময় ওই ব্যক্তি ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাহাবুব (ওসি) ভাই আপনি আমাকে চেনেন, জানেন, বোঝেন। আমি বিপদে পড়েছি বলে আপনার কাছে এসেছি। আমি সবসময় বিপদেই পড়ি। দেন একটা খাম দেন। আমি জানি যে, আমি আসলে কাজ হবেই। আর একদিন এসে বলবো ও আমাকে কী পর্যায়ে পেরেশানির মধ্যে রেখেছে। যদি অফিশিয়ালি সলিউশন করেতে পারতাম আমি! সে জিএম সাহেবের কাছে ৪০ জন লোক নিয়ে গেছে রিমুভ ফ্রম সার্ভিস করার জন্য আমার বোনের। আমি আপনাকে কী বোঝাবো।
[৫] ওসিকে খাম দেওয়া যুবকের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তার বাড়ি ভদ্রা বৌ-বাজার এলাকায়।
[৬] মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বোন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্মরত। সম্প্রতি তিনি কর্মকর্তার দ্বারা শ্লীতাহানির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুই সপ্তাহ সেই মামলার নথিপত্র একটি খামে করে ওসিকে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বেশি লোক থাকার কারণে গোপন নথিপত্র একটি খামে দেওয়া হয়েছিল। সেটি কেউ ভিডিও করে ভাইরাল করেছে। ওই খামে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। আর আমরা তো ভিকটিম। আমরা কেন পুলিশকে টাকা দিতে যাব।’
[৭] ওসি মাহবুব আলম বলেন, আমি পাবলিকের কাছ থেকে টাকা খাই না। মামলার কিছু নথিপত্র একজন যুবক খামে করে দিয়ে গিয়েছিল। সেখানে মিডিয়া কর্মীসহ অনেকই ছিলেন। সেটি কেউ ভিডিও করে রেখেছিল। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সেই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। বিষয়টি কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মাহবুব আলম।
[৮] রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রিমা থানার ওসির একটি খাম লেনদেনের ভিডিও কর্মকর্তাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :