সাজ্জাদুর রহমান, বেরোবি: [২] কোটা সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মর্ডান মোড় প্রদক্ষিণ করে ১ নম্বর গেটে গিয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশ শেষ করে।
[৩] অন্যন্যা দিনের তুলনায় আজকে গণজোয়ারে রুপ নেয় এ আন্দোলন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। তাদের হাতের পোস্টার আর মুখে বিভিন্ন রকম স্লোগানে মিছিলটি মুখরিত হয়ে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি দাওয়া লেখা সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন।
[৪] ‘সুযোগের সমতা, সংবিধানের মূল কথা’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, আমার সোনার বাংলায়,বৈষম্যের ঠাই নাই ’," "কোটা দিয়ে কামলা নয়,মেধা দিয়ে আমলা চাই"এ রকম লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মিছিলটি মুখরিত করে তোলেন।
[৫] এ সময় তারা ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র বহাল-সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়াসহ উল্লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন।
[৬] তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা চাই না কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হোক, কোটা থাকুক, তবে সেটা সামান্য এই আইন করেই পরিপত্রটি পাস হোক। তাছাড়া আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।
[৭] প্রসঙ্গত, সারাদেশে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, পরিপত্র বহাল রেখে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
[৮] উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :