সোহাগ হাসান, সিরাজগঞ্জ: [২] পাহাড়ী ঢল ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দিন দিন সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীসহ অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলনবিলাঞ্চলের নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে প্রতিদিন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের প্রায় সারে ৫ হাজার মানুষ।
[৩] একই সঙ্গে চরাঞ্চলের ৪০৮ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙন।
[৪] এদিকে, গত ১২ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
[৫] শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৬] এদিকে, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
[৭] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানি উঠে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
[৮] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।
[৯] পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরও পানি বৃদ্ধি হতে পারে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। মাঝারি আকারের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিনিধি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :