দিলওয়ার খান, নেত্রকোনা: [২] মদন উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার শামসুল ইসলাম কে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার সাথে অসাধাচরণ ও তদন্ত কমিটিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে বরখাস্থ করা হয়। বিষয়টি শুক্রবার জেলা আনসার কমান্ডার গোলাম মৌলা তুহিন নিশ্চিত করেছেন।
[৩] জেলা আনসার কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ায় কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে উৎকোচ নেন উপজেলা আসনার কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলাম। কিন্তু তার তালিকা অনুযায়ী অনেক সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রিমী ফেরদৌসীর সাথে কয়েক দপা অসাধাচরণ করেন আনসার কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলাম।
[৪] গত ৫ই মে শামছুল ইসলাম অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ওই নারী কর্মকর্তাকে উত্যক্ত ও অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তাকে প্রাণনাশ ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে মারধর করতে চায়। অফিস কক্ষের দরজায় তালা লাগিয়ে নিজেকে রক্ষা করে আনসার কর্মকর্তা রিমী ফেরদৌসী। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলেই উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রিমী ফেরদৌসী নেত্রকোনা জেলা কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
[৫] অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা কমান্ডার। পরে তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ আরো দুই সদস্য ২৬ মে মদন উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসে তদন্তে আসেন। ওই দিন উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলাম তদন্ত কমিটির সামনে কাগজপত্র ছিড়ে পেলে এবং কমিটির সকল সদস্যকে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে তদন্ত কমিটির গাড়িতে হামলা করেন।
[৬] এ ছাড়াও ২০০৮ সালে কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলাম উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর আনসার কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলামকে বরখাস্ত হয়।
[৭] নেত্রকোনা জেলা আনসার কমান্ডার গোলাম মৌলা তুহিন জানান,‘মদন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার সাথে অসাধাচরণ ও তদন্ত কমিটিকে লাঞ্ছিত করাসহ নানা অভিযোগে কোম্পানী কমান্ডার শামছুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আনইগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :